সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: পিচ কিউরেটরের (Hooghly Pitch Curator Death) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ মানকুন্ডু স্পোর্টিং ক্লাবে। ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে ক্লাবের সামনেই দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে ক্লাবের তরফে ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রফাসূত্র মেলেনি। মৃতের নাম অর্পণ পাল। বয়স ২৬ বছর।
বিশদে...
স্থানীয় সূত্রে খবর, মানকুন্ডুর মিলন নগরের বাসিন্দা ছিলেন অর্পণ। সিএবি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। গত ১০ বছর ধরে ক্লাবের মাঠের পিচ দেখাশোনা করতেন। ক্লাবের মাঠে জেলার ক্রিকেট-সহ সিএবির খেলা হয়। জানা যাচ্ছে, গত দু'দিন বৃষ্টি হওয়ায় মাঠে জল জমেছিল। সকালের দিকে পাম্প চালিয়ে জল বের করা এবং পিচ প্রস্তুতির কাজ করছিলেন বছর ছাব্বিশের ওই যুবক। হঠাতই একটি তারে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। একই সময়ে মাঠে আরও একজন কাজ করছিলেন। তিনি ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ক্লাবের লোকজনকে খবর দেন। অর্পণকে দ্রুত চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দেহ ময়নাতদন্তের পর সন্ধা সাড়ে ছ'টা নাগাদ ক্লাবের সামনে নিয়ে আসা হয়। ক্লাবের পতাকা, ফুল-মালা দেওয়া হয়। এরপরই মৃতের পরিবার ও ওই পাড়ার লোকজন ক্ষতিপূরণের দাবীতে বিক্ষোভ করে। সূত্রের খবর, তাঁরা ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। প্রথম দিকে ক্লাবের সঙ্গে একাধিক বার আলোচনা করেও কোনও রফা সূত্র মেলে না।মানকুন্ডু স্টেশন রোডে ভিড় জমে যায়। এমনকী চন্দননগর থানার পুলিশও হাজির হয়। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় দফায় দফায় আলোচনা হয়। তাতেও রাত দশটা পর্যন্ত কোনো রফা সূত্র মেলেনি।
মৃত যুবকের প্রতিবেশি মিঠুন নন্দী বলেন, 'অর্পণ মাঠের পিচ প্রস্তুত থেকে সব কাজ করত। ও ইলেকট্রিকের কাজ জানত না। তাও ওকে দিয়ে ইলেকট্রিকের কাজ করানো হয়। কাটা তার জলে পরে থাকায় তা থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। একটা তরতাজা ছেলে চলে গেল। ক্লাব সম্পাদক ওকে দিয়ে সব কাজ করাতেন। অথচ মৃত্যুর পর ওর বাবা মার কী হবে, তা ভাবছে না।' পরে ক্লাব সম্পাদক সঞ্জয় কর্মকার বলেন, 'অর্পণ আমাদের মাঠের পিচ দেখাশোনা করত। ওদের দাবি মেনে এখন দু লক্ষ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর ওর বাবা মাকে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। দু'জনের মেডিক্লেমও করে দেওয়া হবে।'
আরও পড়ুন:বেআইনি গুলি-বন্দুক উদ্ধারের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার গুড়াপ থানার পুুলিশের