সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: সবুজ দ্বীপে বেআইনিভাবে গাছ কেটে পাচারের অভিযোগ! শুরু হল হইচই। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। কারা গাছ কাটছে সবাই জানেন! বিস্ফোরক অভিযোগ বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাবেন বলে তিনি জানান। এই নিয়ে তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
নাম তার সবুজ দ্বীপ (Sabuj Dwip)। অথচ তার সবুজই ধ্বংসের মুখে। হুগলি জেলার বলাগড়ে। গঙ্গার (Ganges) ঠিক মাঝে একখণ্ড সবুজ দ্বীপ। বাঙালি পর্যটকদের কাছে অতি পরিচিত নাম। এই দ্বীপেই পর্যটনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অথচ সেই সবুজ দ্বীপ থেকেই শয়ে শয়ে গাছ কেটে পাচার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সবুজ দ্বীপে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। হুগলি বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর কথায়, পর্যটন মন্ত্রী বনমন্ত্রীকে জানিয়েছি, এবার মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দিদিকে জানাবো। দিদির স্বপ্নের প্রকল্প সবুজ দ্বীপ, সেই দ্বীপে কি ভাবে সবুজ ধ্বংস হচ্ছে। কারা করছে সবাই জানে কিন্তু এখনো প্রশাসন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমি চাই চোর ধরা পড়ুক আর সবুজ দ্বীপ সবুজ হয়ে থাকুক।
কয়েক বছর আগে সবুজ দ্বীপকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু হয়। করোনার কারণে মাঝের ২ বছর কাজ বন্ধ ছিল। সম্প্রতি যখন সবার টনক নড়ে, ততদিনে সবুজ দ্বীপের অনেক গাছ কেটে সাফ করে দেওয়া হয়েছে কিন্তু, কারা সবুজ দ্বীপের সবুজ ধ্বংস করছে? কাদের দিকে আঙুল তুললেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী?
এ ব্যাপারে তিনি সরাসরি কিছু না বললেও, বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। তৃণমূল পরিচালিত বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গেছে, পরপর ঝড়ে সবুজ দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তাই ভেঙে পড়া গাছ কেটে ফেলার জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। অভিযোগ সেই সুযোগেই একশ্রেণির অসাধু কারবারিরা শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে!
বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তৃণমূল নেত্রী পায়েল পালের দাবি, গাছ কাটার জন্য নিলাম হয়েছে বলে জানা ছিল না। অনেক পরে জেনেছি। নির্বিচারে গাছ কাটা চলছে। BDO অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশও তদন্ত করছে। হুগলির জেলাশাসক দীপপ্রিয়া জানিয়েছেন, গাছ চুরির ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।