হুগলি: জন্ম থেকে চোখে আলো নেই বাংলাদেশের যশোরের বাসিন্দা মেহেদি হাসান আহমেদের। আলোর খোঁজে অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে এসেছিলেন ভারতে। থাকতেন হুগলির ডানকুনিতে, এ দেশে কুড়ি বছর কেটে গেছে। দেশে ফেরেননি পেশায় গায়ক মেহেদি, স্বীকার করছেন এভাবে থাকাটা আইনত অপরাধ।
আরও পড়ুন, মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের নাম করে ফোন, আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ১ শিক্ষক-সহ তিন !
মেহেদি হাসান বলেন, '২০ বছর আগে তো চলে এসেছিলাম। যেহেতু আমি অবৈধভাবে এসেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে সরকার যদি অ্যাকশন নেয়, এটা তার কোনও অন্যায় নয়। কারণ যেহেতু আমি অবৈধ এসেছি, কোনও দেশের সরকার চায় না যে, আমার দেশে অন্য দেশের মানুষ বাস করুক এইভাবে। রয়েতো গিয়েছিলাম। কিন্তু আইনত, এট অপরাধ। SIR বা NRC যেটাই করুন না কেন, আমি তো বলব, এটা অন্যায় নয়, এটা করা উচিত। প্রত্যেকটা দেশই চায়, আমার দেশে অন্য দেশের মানুষ না থাকুক।'
রাজ্যে SIR চলাকালীন মধ্যমগ্রামে ফাঁকা ঝুপড়ি ঘর। মধ্যমগ্রামের বিশ্বাসপাড়ায় বহু ঝুপড়ি ঘরে ঝুলছে তালা। বেশিরভাগই বাংলাদেশি বলে ভয়ে পালিয়েছে, দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পশ্চিমবঙ্গে SIR শুরুর পর, একদিকে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর সীমান্ত দিয়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশে ফেরার মরিয়া চেষ্টা! অন্যদিকে SIR চলাকালীন ফাঁকা হয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের একটি এলাকার একাংশ। মধ্যমগ্রাম পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডেরই বিশ্বাসপাড়ায় লাইন দিয়ে রয়েছে ঝুপড়ি ঘর। বেশিরভাগেরই ওপরে প্লাস্টিক, কোনওটার মাথায় টালির ছাউনি। দেওয়াল বলতে টিনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে এলাকা। ঝুপড়ি ঘরে ঝুলছে তালা। কিন্তু কেন? মধ্যমগ্রাম পুরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মজিদ বিশ্বাস বলেন, ওরা ভয়েতে পালিয়েছে। কারও আধার কার্ড নেই, কারও রেশন কার্ড নেই। যার যার নেই, ওরা দুর্বলতা ভেবে, ওরা ভয়তে সব পালিয়ে গেছে। ' মধ্যমগ্রাম পুরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ড বাসিন্দা সাবানা বিবি বলেন, এই CAA হচ্ছে না, ওই ভোটার কার্ড সংশোধন এসব হচ্ছে বলে, ওরা তো বেশিরভাগ ছিল সব বাংলাদেশি, ওইজন্য সব চলে গেছে। আমি প্রায় ১০ বছর এসেছি, ১০ বছর ধরেই দেখছি এখানে। ২-৩ সপ্তাহ হয়েছে সব চলে গেছে। ' এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।