হুগলি: রিষড়ায় (Rishra) অশান্তির জের। হস্তক্ষেপ চেয়ে রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন পুড়শুড়ার বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) বিমান ঘোষ (Biman Ghosh)। কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষের। গতকালের অশান্তিতে বিমান ঘোষ আহত হয়েছেন বলে দাবি বিজেপির।


রাম নবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তির পর আজও থমথমে রিষড়া (Rishra)। দোকানপাট বন্ধ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রিষড়ার বিভিন্ন এলাকায় চলছে টহলদারি।শান্তি বজায় রাখতে মাইকে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। গতকাল রিষড়ার বাঙুর পার্ক থেকে রাম নবমীর মিছিল বের হয়। মিছিলে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপি নেতারা। মিছিল ওয়েলিংটন জুটমিলের কাছে পৌঁছতেই অশান্তি শুরু হয়। ইটবৃষ্টি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। পরে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় জারি হয় ১৪৪ ধারা। রিষড়াকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


রিষড়াকাণ্ডের প্রতিবাদে কলকাতায় পথে নামল বিজেপি। এ দিন এমজি রোডে জড়ো হন বিজেপি কর্মীরা। রাস্তায় বসে পড়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নিলেও এমজি রোড থেকে মিছিল করে মুরলীধর সেন সেনে দলের রাজ্য দফতরে আসেন বিজেপি কর্মীরা। 


রিষড়াকাণ্ডে সুকান্ত মজুমদারের সফর ঘিরে ধুন্ধুমার। অভিযোগ, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণ দেখিয়ে আটকানো হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। কোন্নগরে গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেওয়া হয়। জিটি রোডে ব্যারিকেড ভেঙে দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। এরপর রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। 


রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে, রবিবার অশান্ত হয় হুগলির রিষড়া। আর, সোমবার বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কোন্নগরে। পুলিশের ব্যারিকেড ধরে টানাটানি করলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ব্যারিকেড ভাঙারও চেষ্টা করেন তাঁরা। আহত দলীয় কর্মীদের দেখতে রিষড়া যাওয়ার পথে, সোমবার দুপুরে কোন্নগরের বিশালাক্ষীতলায় আটকানো হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়। জিটি রোডের উপর ব্যারিকেড করে আটকানো হয় রাস্তা। তিন দিক দিয়ে ব্যারিকেড করে রাস্তা আটকানো হয়। গাড়ি থেকে নামতে বাধা দেওয়া হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে।


এরপরই, উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পাশাপাশি ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। যখন, পুলিশের গার্ডরেল ধরে ঠেলাঠেলি করছেন বিজেপির কর্মীরা, তখন গার্ডরেলের সামনে গাড়িতে বসে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন বিজেপির আরেক সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাত। এরপর, রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান। পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।