সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: স্নান করতে নেমে ভেসে (sank) গিয়েছিলেন দুই তরুণ (young male)। চুঁচুড়ার (chinsurah) গঙ্গা (ganges) থেকে তাঁদের দুজনেরই দেহ উদ্ধার হল সোমবার। খবর আসতেই চুঁচুড়া পুরসভার মতিবাগান এলাকায় শোকের ছায়া ছড়িয়ে পড়ে।


কী ঘটেছিল?
 
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, গত কাল দুপুর তিনটে নাগাদ চুঁচুড়ার তুলোপট্টি ঘাটে স্নান করতে গিয়েছিলেন সুমিত রাজবংশী, বিজয় সরকার, জয় সরকার, বাবাই দে, শুভ মাল এবং আকাশ সাহা। ছয় বন্ধু অবশ্য সেই সময় কল্পনাও করতে পারেননি, তাঁদের জন্য কী ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করে রয়েছে। তাঁরা যখন স্নান করছিলেন, ঠিক সেই সময়ই গঙ্গায় বান আসে। ভেসে যান ছজনই। পরে চার জনকে উদ্ধার করা গেলেও দুজনের হদিস মেলেনি। তাঁরা যে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছেন, সে রকমই আশঙ্কা ছিল। মিলেও গেল। 


দুই ঘাট থেকে দুই দেহ উদ্ধার...


নিখোঁজদের তল্লাশিতে গত কাল নৌকো নামানো হয়। চুঁচুড়া থেকে ত্রিবেণী পর্যন্ত 'ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বোট' নিয়ে তল্লাশি চলে। তার পর, আজ সকালে চুঁচুড়া ও চন্দননগরের ঘাট থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার হয়। নির্দিষ্ট করে বললে, চুঁচুড়া বোসের ঘাট থেকে শুভ মালের দেহ উদ্ধার হয়। চন্দননগর গোস্বামী ঘাট থেকে মেলে আকাশ সাহার দেহ। দুজনের বাড়িই চুঁচুড়া পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের মতিবাগান এলাকায়। দুটি দেহ চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত মার্চ থেকে চুঁচুড়ায় গঙ্গার ঘাটগুলোতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা কুড়িটিরও বেশি ঘটেছে। ঘাটগুলোকে বিপজ্জনক ঘোষণা করে বোর্ডও টাঙানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মাইকিং করে প্রচার চালায় হুগলি চুঁচুড়া পুরসভা। স্নান করতেও নিষেধ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তার পরেও হুশ ফেরেনি। তুলোপট্টি ঘাট বিপজ্জনক ঘাটগুলির অন্যতম। জোয়ার আসার সময় স্নান করতে নামলে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও বেপরোয়া ভাবে স্নান করতে নামায় বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে। 


আরও পড়ুন:‘সংসদে খোলা পরিবেশে তর্ক বিতর্ক হোক’, বিরোধীদের প্রতি সহযোগিতার আবেদন মোদির