সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: চাঁপদানীর জিআইএস কটন মিলে ভয়াবহ আগুন লাগল মঙ্গলবার। সেই আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। দীর্ঘক্ষণ ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। 


মিল ম্যানেজার ডি কে সিং জানান,মিলের মিক্সিং ইউনিটে আগুন লাগে সম্ভবত ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। সিল্ক কটন সুতো তৈরীর কাঁচামাল মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পরে। কটন মিলের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা দিয়ে প্রাথমিক ভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। পরে খবর দেওয় হয় দমকলে।


শ্রীরামপুর চাঁপদানী ও ভদ্রেশ্বর থেকে দমকলের মোট তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। প্রায় দুই ঘটনা জলার পর আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। তার আগেই পুরে ছাই হয়ে যায় বেশ কিছু কাঁচা মাল। 


এদিকে সোমবার ভোরে লিলুয়ার গোশালা রোডে একটি প্লাস্টিকের কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ওই প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে দমকল ও পুলিশকে খবর দেয়।                


প্লাস্টিক দাহ্য বস্তু হওয়ায় সহজেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটাই বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। গোটা এলাকা ততক্ষণে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। এরপর ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় চারটি ইঞ্জিনের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে৷ জানা গিয়েছে ততক্ষণে লক্ষাধিক টাকার সামগ্রীর ক্ষতি হয়ে গিয়েছে৷


ওই কারখানায় প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক মজুর থাকায় দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর নেই। কী থেকে এমন আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখছে দমকল কর্মীরা। ওই কারখানার পাশে আরও দু’টি কারখানা রয়েছে৷ আগুন সেখানেও ছড়িয়ে পড়ে প্রাথমিকভাবে৷ গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী৷