সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ায় (Chinsurah) শ্যুট আউট। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত-সহ ২ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রটিও। গুলিবিদ্ধ যুবক আরজিকর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) ভর্তি। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে সভা করে তৃণমূল।
হুগলির চুঁচুড়ায় গঙ্গার ঘাটে শ্যুটআউট। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচলেন আক্রান্ত। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ২। শুক্রবার গভীর রাতে গুলিবিদ্ধ হন হুগলির চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরের বছর চব্বিশের দীপ মণ্ডল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়ায় শ্যামবাবুর গঙ্গার ঘাটে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করছিলেন দীপ। আচমকাই তাদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। তখনই গুলি চালায় একজন। কোমরে গুলি লাগে দীপের। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঝাঁপ দেন গঙ্গায়।
গুলিবিদ্ধ যুবকের বোন রিনু মণ্ডল বলেন, "সকালে ভাই আসে বাডিতে। চারটে গুলি চালায় রাজা। জলে পড়ে যায়। ডুব সাঁতার দিয়ে পরে ঘাটে ওঠে বাড়ি ফেরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় রাজা বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে। উদ্ধার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রটি।রাজাকে জেরা করে গ্রেফতার করা হয় অভিজিত দাস নামে আরজনকে। রাজার নামে অপরাধমূলক কাজকর্মের রেকর্ড আছে।
আরও পড়ুন, হোমের মধ্যেই ‘শিশু নির্যাতন’, তৃণমূলের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়রের পুত্রবধূ-সহ গ্রেফতার ১০
রাজা বিশ্বাসের মা চায়না বিশ্বাস বলেন, "কাল সকালে বেরিয়েছিল। আর ফেরেনি। কী হয়েছিল জানিনা।" তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার, "গুলি চলেছে। পুলিশ ততপর বলে অপরাধ এড়ানো গিয়েছিল। এখন কীভাবে ফের অস্ত্র আসছে, সে ব্যাপারে তদন্ত দরকার। এটা মানা হবে না লোকে আতঙ্কে থাকবেন।" আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আক্রান্ত।
ক্যানিংয়ের সাতমুখীতে বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হলেন যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। মাস ছয়েকের মধ্যে ফের যুব তৃণমূল নেতা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল।