সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: সরকারি আধিকারিকদের ( Government Official) 'স্যার' বললে মাথায় উঠে পড়েন,মনে করেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার (Chinsurah TMC MLA Asit Mazumder)। দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে বলতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে নানা মহলে। ঠিক কী প্রেক্ষিতে কথাটা বলেন তৃণমূল বিধায়ক?


কী বললেন অসিত? 
দেবানন্দপুরের মালিকপাড়া,বিশালক্ষ্মীতলা-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় নলবাহিত পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বাড়ি বাড়ি জলের পাইপ পৌঁছে গেলেও জল পড়ে না।পঞ্চায়েতে বার বার বলা সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে গিয়ে সেই অভিযোগ শুনেছিলেন বিধায়ক। কথা দিয়েছিলেন জলের সমস্যা মেটানোর। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও কাজ হয়নি। এদিন দেবানন্দপুরে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন।নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ রাখতে বলেন। সেই সময়ে বহু বাসিন্দাই রাস্তা,পানীয় জল,বিদ্যুতের খুঁটি নিয়ে অভিযোগ জানান। জলের অভিযোগ পেয়ে পিএইচই দফতরের ইঞ্জিনিয়ারকে ফোন করেছিলেন অসিত। তাঁরা কেন জল পাচ্ছেন না, জিজ্ঞাসা করেন। পরে বিধায়ক জানান, যাঁরা কাজের বরাত পেয়েছিলেন তাঁদের গাফিলতিতেই জল বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে পারছেন না। কী করে এই সমস্যা মেটানো যায়, তা দেখা হচ্ছে। সঙ্গে বলেন, 'পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে সদস্যদের উপর বিরক্ত হয়ে মানুষ আমাকে ফোন করছেন। পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা সরকারি আধিকারিকদের স্যার বললে এমনই হবে।স্যার বললে তারা মাথায় উঠে পরে। স্যার না বলে নাম ধরে অমুক বাবু তমুক বাবু বলা যেতে পারে।'


কী প্রতিক্রিয়া প্রশাসনের?
পিএইচই ঠিকাদার বিমল হালদার বলেন, 'বিধায়ক চার পাঁচ দিনে সমস্যা মেটাতে বলছেন। কিন্তু কী করে সম্ভব? জলের সোর্স নেই। যে পাম্প চলছে তাতে পাঁচ হাজার বাড়িতে জল দেওয়া সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে জলের লাইন দেওয়া হয়েছে তার থেকে অনেক বেশি বাড়িতে। জল স্বপ্ন প্রকল্পে প্রত্যেক বাড়িতে জল দিতে গিয়ে এই সমস্যা হচ্ছে।' ঘটনাচক্রে আজই রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনাবাদ এলাকায় জল না পেয়ে ঠিকাদারের লোকজনকে আটকে রাখে গ্রামবাসীরা।পরে বিধায়ক সেখানে গিয়ে সেই কর্মীকে উদ্ধার করেন। বিধায়ক বলেন, 'ঠিকাদাররা যত নষ্টের গোরা। কী কাজ করতে হবে তার ওয়ার্ক ওর্ডার গ্রামবাসীরা দেখতে চাইলে দেখাতে হবে। রমজান মাস শুরু হয়েছে। এদিকে হোসেনাবাদ সংখ্যালঘু এলাকা। তাই সেখানে জল না পেলে মানুষ ক্ষুব্ধ হবেই।'


আরও পড়ুন:রাহুল ইস্যুতে একজোটে বিরোধিতা, কংগ্রেসের ডাকা বৈঠকে যোগ দিচ্ছে তৃণমূল