মশাট (হুগলি): 'যতদিন মোদি ম্যাজিক (modi magic) থাকবে, ততদিন দেশে রাজত্ব করবে বিজেপি (BJP Will Rule)', হুগলির (hooghly) মশাটের জনসভা থেকে হুঙ্কার মিঠুন চক্রবর্তীর (mithun chakraborti)। 'একবার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে সুযোগ দিন' আবেদন মিঠুনের। 'আপনি যে রাজনৈতিক দলেরই হোন, কাঁচা বাড়ি পাকা করবই', আশ্বাস মিঠুনের। পাল্টা পরিযায়ী পাখির সঙ্গে তুলনা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।
কী বলেছেন মিঠুন?
'আমি কথা দিয়ে কথা রাখি, কথা ভাঙি না। ...সব কাঁচা বাড়ি পাকা বাড়ির করার দায়িত্ব আমার। ৬০ শতাংশ অনেক টাকা। যাঁদের বাড়ি অর্ধেক হয়ে আটকে রয়েছে, তাঁদের আটকে থাকার কারণ ২৫ শতাংশ কাটমানি খেয়ে গিয়েছে। তা হলে কী ভাবে বাড়িটা হবে? কিন্তু এখানে মুশকিল আছে। ...আসল কথা হচ্ছে, বিশ্বাস রাখুন। এখানকার নেতারা রয়েছেন, আমি রয়েছি। আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে, যাঁকে ইচ্ছা ভোট দিতে পারেন। তবে এক বার বিজেপিকে সুযোগ দিন', বললেন মহাগুরু। সঙ্গে সংযোজন, যত দিন মোদি-ম্যাজিক থাকবে, তত দিন বিজেপি শাসনই থাকবে।
আগেও বিস্ফোরক মিঠুন...
গত বছর জুলাইয়ে মহাগুরু বলেছিলেন, ‘৩৮ জন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগে আছেন, ২১ জন সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন' বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সে বার পার্থ ইস্যুতেও মুখ খুলেছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘প্রমাণ থাকলে প্রধানমন্ত্রী (PM), রাষ্ট্রপতিও (President) বাঁচাতে পারবেন না। প্রমাণ না থাকলে ঘুমিয়ে থাকুন, কোনও সমস্যা নেই।’ সাংবাদিক বৈঠকে মিঠুন আরও বলেন, ‘বিজেপি লড়াই ছাড়বে না। স্বচ্ছ নির্বাচন হলে কালই বিজেপি রাজ্যে সরকার গড়বে। বিজেপি কোথাও রাজ্যে অশান্তি করেনি। বিজেপির বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র চলছে। আগে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সম্মানের জায়গা ছিল। এখন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নামের সঙ্গে প্রশ্নচিহ্ন এসে গেছে।' পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে মিঠুনের মন্তব্য, এখন বাংলাকে ভগবানও বাঁচাতে পারবে না।’ যদিও কদিন আগেই মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, 'আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মিঠুন।' 'দিদি যাতে রেগে না যান, তার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মিঠুন। ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছেন মিঠুন, তৃণমূলের সঙ্গে গণ্ডগোল চান না মিঠুন। নিজেই বলছেন যাতে তৃণমূল না রেগে যায়, কিছু কারণে বিজেপিতে গেছেন, ব্যক্তিগত ব্যাপার।' মিঠুন নিয়ে এমনই দাবি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। কী প্রমাণ আছে, এসব বলে প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা, পাল্টা কটাক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর।