হুগলি: চুঁচুড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর দাদাগিরি। হোটেলে ঢুকে ব্যবসায়ীর কলার ধরে মারধর, শাসানি। সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর দাদাগিরির ছবি। ৫০ হাজার টাকা তোলা না দেওয়ার হামলা, অভিযোগ হোটেল ব্যবসায়ীর। 'বেআইনি হোটেল, আগেই ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আমার বিরুদ্ধে তোলাবাজির মিথ্যা অভিযোগ তোলায় মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল'। হোটেলে গিয়ে হুজ্জুতির কথা স্বীকার তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর। 


পলাশিপাড়াতেও একই অভিযোগ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, নদিয়ার (Nadia) নাকাশিপাড়াতেও কিছুদিন আগে একই অভিযোগ ওঠে। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর নদিয়ায় ফের গুলি চলে। কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি ছররা গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শিশু, মহিলা-সহ অন্তত ১৫ জন আহত বলে দাবি করা হয়। আহতদের শক্তিনগর জেলা  হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনায় ৫ তৃণমূল কর্মীকে আটক করে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ (Nakashipara Police Station)।                                                          


প্রসঙ্গত, ২৩ আসনের হরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল (TMC)। বাকি ১০টি আসনে ভোট হলে কংগ্রেস ২টি এবং তৃণমূল ৮টি আসনে জেতে। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটের আগে থেকেই এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। গতকাল বেছে বেছে কংগ্রেস সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে ছররা গুলি ছোড়া হয়। হামলা-যোগ অস্বীকার তৃণমূলের। এর আগে পলাশিপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হন এক SUC কর্মী।                                                                                                                                 


সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস অব্যাহত! বোর্ড গঠন ঘিরে একই ছবি দেখা গিয়েছে বিভিন্ন এলাকাতে। এর আগে  SUC-র পর আক্রান্ত হয় কংগ্রেস! মহিলা থেকে বৃদ্ধা, এমনকি নিস্তার পায়নি শিশুরাও। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটের আগে থেকেই এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে এদিন  অভিযোগ, রাতে বেছে বেছে কংগ্রেস কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।