সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগে শান দিতে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি দিদির সুরক্ষাকবচ। যা শুরু হচ্ছে ১১ জানুয়ারি থেকে। তৈরি করা হয়েছে দিদির দূত নামে একটি অ্যাপ। উদ্দেশ্য রাজ্য সরকারের ১৫টি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধাকে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া। দিদির সুরক্ষাকবচ ও দিদির দূত কর্মসূচি নিয়ে হুগলিতে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে তৃণমূলের প্রচার। তার আগে চুঁচুড়া বিধানসভার দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির ভূত লেখা পাল্টা পোস্টার পড়ল বিজেপির নামে।                                                              

'আসবে দিদির দূত, ওরা দিদির ভূত'

পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি নিয়ে আগে থেকেই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। উলুবে়ড়িয়ায় মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ' পঞ্চায়েতকে লুঠের জায়গা করেছে। বলছে নাকি সুরক্ষা দেবে, বাড়িতে আসবে দিদির দূত, ওরা দিদির ভূত। সাদা খাতায় চাকরি দেয় এই ভূত। আসবে দিদির দূত।' সেই অনুরণন এই পোস্টারেও। চুঁচুড়া বিধানসভার দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির ভূত লেখা পোস্টার পড়ে গেল। 

'ভূতেরা বাড়ি আসবে'

পোস্টারে লেখা, দিদির ভূতেরা বাড়ি আসবে, বাড়ির দরজা বন্ধ রাখুন। কোথাও আবার লেখা, দিদির ভূতেদের তাড়াও, দেবানন্দপুর বাঁচাও। ভূত হইতে সাবধান, এমন পোস্টারও রয়েছে। প্রতিটি পোস্টারেই বিজেপির নাম থাকায় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। তৃণমূলের কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেই পোস্টার, স্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির। পোস্টার-বিতর্কে শাসকদলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 

পঞ্চায়েত ভোটে কী হবে? ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ঘাড়ের কাছে উঠে এসেছিল বিজেপি। সেই সময় গ্রামবাংলায় প্রবল ভাবে সামনে এসেছিল কাটমানি-কেলেঙ্কারি! এই প্রেক্ষাপটে সরকারের ভাবমূর্তি ফেরাতে - দিদিকে বলো। বাংলার গর্ব মমতার মতো প্রকল্প চালু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ঘোষণা করা হয় বাংলা নিজের মেয়েকে চায়, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিও। যা ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে ডিভিডেন্ট দিয়েছে বলে পর্যবেক্ষকদের মত।

এবার পঞ্চায়েত ভোটে কী হবে? দিদির সুরক্ষাকবচে কর্মসূচি কর্মসূচিতে ভর করে, সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়ে কি, দুর্নীতির অভিযোগের মোকাবিলা করতে পারবে তৃণমূল? সেটাই দেখার। 

আরও পড়ুন :

 কনকনে হাওয়ায় কাঁপছে কলকাতা, তাপমাত্রা নামল অনেকটাই