সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি:  এটিএম কিয়স্কে টাকা না ভরে কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিল। গ্রেফতার তিন জন। মূল মাথা এখনও অধরা, উদ্ধার ষাট লাখ টাকা। শ্রীরামপুর এর ঘটনা। ধৃত তিন জনকে আজ শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়। চন্দননগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চন্দননগর কমিশনারেট এলাকার বিভিন্ন এটিএমএ টাকা ভরে যে এজেন্সি তারা গত ৫ মে শ্রীরামপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। বেশ কিছুদিন ধরে এটিএম কিয়স্ক গুলোতে যে পরিমান টাকা রিফিল করার কথা ছিল তা করা হয়নি। এজেন্সির হয়ে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে গিয়ে এটিএমে ভরার কাজ করতো শ্রীরামপুরের এক যুবক। বিষয়টি নজরে আসে গত ২ তারিখ। পুলিশ তদন্তে নেমে শ্রীরামপুর ও রিষড়া থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে।ধৃতরা হল সন্তু দত্ত,সঞ্জিত সরকার ও সঞ্জিত পাত্র। ধৃতদের কাছ থেকে ষাট লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি। প্রায় দেড় কোটি টাকা চুরি হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনো অধরা। তার খোঁজে তল্লাসি চলছে। ধৃতদের ১০ দিনের হেফাজতে চেয়ে আদালতে পেশ করা হয়।


আজকাল প্রতিটি ব্যাঙ্কই এটিএম কার্ড ও ডেবিট কার্ড একই সঙ্গে ইস্যু করে। সেই কারণে আপনি ডেবিট কার্ডের মাধ্যমেই অনলাইনে লেনদেনও করতে পারেন। দেশের সাইবার অপরাধের পরিসংখ্যান বলছে, এটিএম-এর ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন বৃদ্ধির সাথে সাথে দ্রুত বাড়ছে এটিএম জালিয়াতির সংখ্যা। আপনার নগদ হাতাতে প্রতারকরা এখন এটিএম ক্লোনিং শুরু করেছে। অনলাইন লেনদেনের মাধ্যমে এটিএম মেশিনে কিছু পরিবর্তন করে আপনার টাকা হাতাতে পারে প্রতারকরা।