মোহন দাস, আরামবাগ (হুগলি): জৈব সার তৈরির প্রকল্প থেকে সমস্যা। বর্জ্য পদার্থের গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকার বাসিন্দারা। বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এবার বাধ্য হয়ে বিক্ষোভের পথ বাছলেন বাসিন্দারা।


দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী


আরামবাগ পুরসভার ৫ নম্বর, ১৪ নম্বর ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন এলাকায় শুরু হয়েছে পচনশীল বর্জ্য নিয়ে জৈব সার তৈরির একটি প্রকল্প। আর সেই প্রকল্প শুরু হতেই সমস্যায় পড়েছেন এলাকাবাসী। বর্জ্য জমা করা হচ্ছে যেখানে, সেখান থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ বের হচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। আর সেই পচনশীল বস্তুর তীব্র গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকার অগণিত মানুষ।


বাসিন্দাদের দাবি, তাঁরা একাধিকবার এই বর্জ্য পদার্থ অন্যত্র ফেলার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অভিযোগ, কেউ তাঁদের কথায় কোনও কর্ণপাত করেননি। তাই বাধ্য হয়েই এদিন পুরসভার গোডাউনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। উল্লেখ্যভাবে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন এলাকার অধিকাংশ গৃহবধূ। কাউন্সিলররা ঘটনাস্থলে এলে তাঁদের ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। তখন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় আরামবাগ থানার পুলিশ। তাদের আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত তালা খুলে, বিক্ষোভ থামান বাসিন্দারা।


আরও পড়ুন: Lalbazar on Cyclone Asani : দ্রুত ব্যবস্থার উদ্যোগ, অশনির-আশঙ্কায় লালবাজারে তৈরি ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার


সূত্রের খবর, আরামবাগের মোট ১৯টি ওয়ার্ডের সমস্ত পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পদার্থ এসে জমা করা হয় ৫, ১৪ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন বেনেপুকুর এলাকায়। এখানেই আরামবাগ পুরসভার গোডাউনটি অবস্থিত। সেই গোডাউনেই গোটা শহরের পচনশীল বর্জ্য পদার্থ জমা করা হয়। এই গোডাউনের পাশাপাশি এলাকায় এই তিনটি ওয়ার্ডের মানুষের বাস। দীর্ঘদিন ধরে এই গন্ধ সহ্য করে আসছেন তাঁরা। এই সমস্যার কথা এই এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে জানিয়েছে কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি।


এখানকার কাউন্সিলর ও আরামবাগ থানার পুলিশ এসে এলাকার মানুষকে আশ্বস্ত করার পরে তারা বিক্ষোভ তুলে নেয়। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সঞ্জয় ঘোরুই  এই সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে বলেন, 'পুরসভায় গিয়ে জানাব। যাতে এই প্রকল্প অন্যত্র স্থানান্তর করা যায়। শহরের বাইরে কোনও ফাঁকা এলাকায় যাতে ব্যবস্থা করা যায় তার প্রস্তাব পাঠাব।'