হরিপাল : দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে আরামবাগের (Arambagh) তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার (Aparupa Poddar)। চন্দনপুর রেলস্টেশন এলাকায় আন্ডারপাসের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজে সাংসদকে দেখা যায় না বলে অভিযোগ জানান বিক্ষোভকারীরা। হরিপাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত কর্মসূচিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন অপরূপা। যদিও এনিয়ে কোনও মন্তব্যে নারাজ সাংসদ।


অপরূপার সাম্প্রতিক ট্যুইট ঘিরে বিতর্ক-


সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাওয়া সংক্রান্ত মন্তব্যে শিরোনামে উঠে আসেন অপরূপা। ২০৩৬-নয়, ২০২৪-এই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান তৃণমূলের আরামবাগের সাংসদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। ট্যুইট করেও পরে, পোস্ট ডিলিট করেন অপরূপা পোদ্দার।


কুণাল ঘোষের পর অপরূপা পোদ্দার। একধাপ এগিয়ে অপরূপা লিখেছিলেন, "২০২৪ সালেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাই।" ট্যুইট করে আবার ডিলিটও করে দেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। কিন্তু, ততক্ষণে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গেছে।


তৃণমূলের তৃতীয়বার জয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির দিন, ফেসবুক পোস্টে কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের এক সৈনিক হিসেবে বলতে পারি, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতাদি। আর সেই ২০৩৬ সালে তিনি অভিভাবকের মতো উপস্থিত থাকবেন এমন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেবেন অভিষেক।


তখনই প্রশ্ন ওঠে, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদনে পরিকল্পনামাফিকই কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি ঘোষণা করা হল?....এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ট্যুইট করে বলেন, আমি চাই, আমাদের দিদি ২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন আরএসএস মনোনীত রাষ্ট্রপতির থেকে। আর এই বিজেপির গোবর্ধন জগদীশ ধনকড়ের থেকে বাংলায় ২০২৪-এ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন আমাদের প্রিয় যুবনেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।


এপ্রসঙ্গে অপরূপা বলেছিলেন, আমি দেখতে চাই আমাদের দিদি প্রধানমন্ত্রী হোক, যেভাবে বাংলাকে সাজিয়ে তুলেছেন সেভাবে দেশকে সাজিয়ে তুলবেন।