সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈদ্যবাটি: ফের আসবে পড়ুয়ারা। প্রাণ ফিরে পাবে স্কুলগুলি (School Reopen)। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে স্কুল খোলার প্রস্তুতি। হুগলির বৈদ্যবাটির (Baidyabati) স্কুলগুলিতে চলছে স্যানিটাইজেশন। ক্লাসরুম সাজছে নতুন রূপে।


১৬ নভেম্বর থেকে ফের খুলতে চলেছে স্কুল। পড়ুয়াদের গলার শব্দে গমগম করবে ক্লাসরুম। তারই প্রস্তুতিতে শুক্রবার হুগলির বৈদ্যবাটির সুরেন্দ্রনাথ হাইস্কুলে একটি  স্কুলে দেখা গেল একটু অন্য ছবি। স্যানিটাইজেশন-ঝাড়পোঁছ তো রয়েছেই, সঙ্গে স্কুলের ভিতরেই স্পষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে করোনাবিধি। সংক্রমণ ঠেকাতে কী করতে হবে, আর কী করা থেকে বিরত থাকতে হবে, সেটাই ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দেওয়ালে।


শেওড়াফুলির সুরেন্দ্রনাথ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রেশমি মুখোপাধ্যায় বলেন, "পরিষ্কার করা হচ্ছে। পুরসভাকে পাশে পেয়েছি। মার্ক করা হয়েছে বেঞ্চ।'' বৈদ্যবাটি পুরসভা প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য ও ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর সুবীর ঘোষ বলেন, "করোনা আবহে যাতে পড়ুয়াদের অসুবিধে না হয় সে জন্য আঁকা। ছবি দিয়ে বোঝানো হচ্ছে কী করতে হবে। নোটিসও টাঙানা হয়েছে। যাতে মনে থাকে।''


প্রস্তুতি সারা। এখন অপেক্ষা শুধু স্কুল খোলার। করোনা আবহে অনলাইন ক্লাস, সর্বোপরি ঘরবন্দি জীবন থেকে মুক্তি মিলতে চলেছে। স্বভাবতই খুশি পড়ুয়ারা। সংক্রমণ রোধে স্কুলের ব্যবস্থাপনায় আশ্বস্ত অভিভাবকরাও। ওই স্কুলেরই দশম শ্রেণির ছাত্র  শেখ সোয়েলের কথায়, "আজ দেখতে এসেছিলাম স্কুলের কী অবস্থা। যেভাবে স্যানিটাইজেশন হচ্ছে। ভরসা পাচ্ছি।'' এক অভিভাবক সুজিত মিত্র বলছেন, "ভালো কথা স্কুল খুলছে। ব্যবস্থা দেখে আশ্বস্ত।''


উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই স্কুল খোলা নিয়ে গাইডলাইন জারি করেছে শিক্ষা দফতর। যেখানে বলা হয়েছে-



  • ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত স্কুল পরিষ্কারের কাজ শুরু করে দিতে হবে।

  • পয়লা নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হবে শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের।

  • প্রয়োজনে পড়ুয়া, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের পাস দেওয়া হবে। তা ইস্যু করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান।

  • হস্টেল খোলা যেতে পারে। তবে, কঠোর ভাবে মানতে হবে কোভিড বিধি।

  • স্কুলের হস্টেলে আইসোলেশন রুম রাখতে হবে।

  • স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পড়ুয়াই আংটি, বালা, হার-সহ কোনও গয়না পরতে পারবেন না।

  • স্কুলে বসার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট বিধি মানতে হবে। বেঞ্চে দু’জনের বেশি পড়ুয়া বসতে পারবে না।

  • একটি বেঞ্চে দু’জন পড়ুয়া বসলে, তার পরের বেঞ্চে একজন পড়ুয়া বসতে পারবে।

  • ক্লাসরুমে শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রার্থনা হবে।

  • স্কুলের করিডর, গেটে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে গোল দাগ কেটে দিতে হবে।

  • স্কুলে আপাতত অভিভাবকরা প্রবেশ করতে পারবেন না।

  • স্কুলে দেওয়া হবে না রান্না করা মিড ডে মিল।

  • সেক্ষেত্রে, আগের মতোই বাড়িতে মিড ডে মিলের সরঞ্জাম দিয়ে দেওয়া হবে।

  • আপাতত স্কুলে কোনও খেলাধুলো বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।

  • সব সময় ক্লাসে উপস্থিত থাকবেন একজন শিক্ষক।

  • স্কুলে জাঙ্কফুড খাওয়া যাবে না।

  • দেওয়া-নেওয়া করা যাবে না, পানীয় জল বা বই।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee in Goa: ‘গোয়াতে নতুন সকাল আনতে হবে, একটা সুযোগ তৃণমূল কংগ্রেসকে দিন’, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়S