সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, বলাগড়(হুগলি) : চাষের জমি আগেই গেছে নদীগর্ভে। এবার গ্রামের স্কুলবাড়িটাও বিলিন হতে বসেছে। গঙ্গা ভাঙন আস্ত একটা স্কুলকে গিলে নিতে চলেছে। তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই, আক্ষেপ গ্রামবাসীর !


গ্রামাবাসী জানিয়েছেন, বর্ষার আগে স্কুল থেকে অনেক দূরে ছিল গঙ্গা। প্রতিদিন একটু একটু করে এগিয়ে আসছে। নদী পাড় ভাঙছে। খয়রামারির কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মাটিতে ফাটল ধরে গঙ্গায় মিশে যাচ্ছে। বলাগড় ব্লকের চর খয়রামারি ভাঙন কবলিত। চাষের জমি, গ্রামবাসীর বাড়িঘর পর্যন্ত জলে তলিয়ে গেছে।


খয়রামারি জি এস এফ প্রাথমিক স্কুলের সীমানা পাঁচিল ইতিমধ্যেই গঙ্গা-গর্ভে চলে গেছে। স্কুলের বারান্দায় এসে ধাক্কা মারছে জল। যে কোনও সময় গোটা স্কুলটাই হয়ত তলিয়ে যাবে চোখের সামনে। নদীর পাড় যেভাবে ভাঙছে তাতে আতঙ্কে রয়েছে গ্রামবাসী। ভাঙন আটকানোর কোনও ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ উঠছে।


এব্যাপারে হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান জানিয়েছেন, কেন্দ্রের উদাসীনতার জন্যই গঙ্গা ভাঙন নিয়ে কিছু করা যাচ্ছে না। বলাগড় ব্লকের অনেকটা এলাকা গঙ্গা ভাঙনের শিকার। শুধু হুগলি জেলা নয়, অন্য জেলাও গঙ্গা ভাঙনের কবলে পড়েছে। সেটা নিয়ে ভাবা উচিত ছিল কেন্দ্রের। ভাঙন আটকাতে বোল্ডার, তার জাল ফেলা হয়। স্কুল তলিয়ে গেলে হয়ত বিকল্প জায়গায় স্কুল করতে হবে। কিন্তু, এটা কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। নদীর নাব্যতা না বাড়ালে ভাঙন ঠেকানো যাবে না।


যদিও বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, নমামী গঙ্গের প্রোজেক্ট হিসাবে প্রচুর টাকা রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গে তার কোনও বাস্তবায়ন হয় না। সেই টাকা নেতা-নেত্রীদের পকেটে চলে যায়। উত্তরপ্রদেশে সেই প্রোজেক্ট বাস্তবায়িত হতে দেখা গেছে। রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় এই বলাগড় একদিন পুরোটাই গঙ্গাবক্ষে চলে যাবে এবং এলাকার বিধায়ক তিনি ওই গঙ্গায় নৌকা চালাবেন।