মোহন দাস, সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: বিনামূল্যের করোনা ভ্যাকসিন বিক্রি করা হচ্ছে। জড়িত রয়েছেন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কয়েকজন কর্মীও। পুড়শুড়ায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন চিকিৎসক। তদন্ত কমিটি গঠন করলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
পুরশুড়া ডিহিবাতপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক প্রহ্লাদ হাইত জানিয়েছেন, এখানে একটা র্যাকেট চলছে। সামহাউ আমাদের কর্মীরাও যুক্ত আছে। মুষ্টিমেয় কিছু লোক, যারা টাকা দিচ্ছে তারা পাচ্ছে।
রাজ্যে এখনও কাটেনি করোনা ভ্যাকসিনের সঙ্কট। এই প্রেক্ষাপটে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন হুগলির এই চিকিৎসক। বিনামূল্যে পাওয়ার কথা যে ভ্যাকসিন, তা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছেন কয়েক জন। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত আছে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের একাংশ।
অভিযোগ তুলেছেন হুগলির পুরশুড়ার ডিহিবাতপুর উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক। শুধু তাই নয়, তাঁকে হুমকি দেওয়াও হচ্ছে বলে অভিযোগ।
প্রহ্লাদ হাইত আরও জানিয়েছেন, গতকাল বৃষ্টি হচ্ছিল, লোকাল লোক এসেছিল, কিন্তু বাইরের লোক ভ্যাকসিন নিয়ে গেছে। আমি বলেছি বলে আমার উপর অ্যটাক করা হয়েছিল। আমি পুলিশ ডেকেছিলাম। বাইরে থেকে লোকদের আনা হয়েছিল। হাসপাতালের লোকরা এরকম নয়, কিন্তু সাম পার্সন এটা করছে। যারা এই চক্রটা চালাচ্ছে। আমার ফ্যামেলিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এর জেরে ভ্যাকসিন বণ্টনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে ইমেল করেছেন এই চিকিৎসক। যার প্রেক্ষিতে CMOH জানিয়েছেন,
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন সরকারি চিকিৎসকের এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজা।
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু জানিয়েছেন, যে ভ্যাকসিন স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে থাকার কথা, সেটা এখন তৃণমূল কর্মীদের হাতে থাকছে। পুড়শুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষের কথায়, এরা আগেও ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে জড়িত। তৃণমূলের কালচার।
আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের দাবি, ডিএমকে ব্যবস্থা নিতে বলব। বিজেপির চক্রান্ত, ওরা এসব করাচ্ছে। যদিও চিকিৎসকের তোলা ভ্যাকসিন দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোনও কর্মী মুখ খুলতে চাননি।