সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, পোলবা (হুগলি) : চাউমিন আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। এরপর আজ গলা কাটা দেহ উদ্ধার হল এক কিশোরের। ঘটনার প্রতিবাদে পোলবার ঝাপায় অভিযুক্তদের ঘরে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পোলবা থানার পুলিশ ও র্যাফ বাহিনী। মৃতের নাম দেব ঘোষ (১২)। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের গলায় কাটা চিহ্ন আছে।
গতকাল সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিল দেব। পোলবার রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের দিল্লি রোডের পাশে মামার বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকত সে। বাড়ির বিপরীতে কলকাতামুখী দিল্লি রোড। তার পাশে গ্যাস পাইপ লাইনের কাজ করতে আসেন বিহারের কিছু শ্রমিক। সেখানেই অফিস তৈরির কাজ চলছে। শ্রমিকরা টিন ঘিরে ঘর বানিয়ে বসবাস করছিলেন। জানা গেছে, দেব ওই শ্রমিকদের ফাইফরমাস খাটত। জল এনে দিত।
গতকাল সন্ধায় তাকে চাউমিন ও এগরোল আনতে দেন শ্রমিকরা। তারপর আর তার খোঁজ মেলেনি। এরপর আজ সকালে কিশোরের মৃতদেহ কিছুটা দূরে একটি পুকুরে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
বালকের মায়ের অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। জল তুলে দেওয়ার ২০০ টাকা পেত সে। তাঁরা ভেবেছিলেন, সেই টাকাই আনতে গেছে। রাতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করেন তাঁরা। কিন্তু, খোঁজ মেলেনি। দোষীদের শাস্তি চান তিনি।
ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় ঝাপা এলাকায়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শ্রমিকদের ঘর ভাঙচুর করা হয়। পোলবা থানার পুলিশ র্যাফ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে ঘটনাস্থলে আসেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত সুপার কল্যাণ সরকার। দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামাবাড়া হাসপাতালে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়। ঘটনায় তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গত মাসে দেখা যায়, মোমো খাওয়ার জন্য ডেকে প্রেমিককে খুনের ঘটনা ! ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় নৈহাটি দোগাছিয়া এলাকায়। নৈহাটি দোগাছিয়া এলাকায় এক বাঁশবাগান থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পাশের এক গৃহবধূর সঙ্গে ওই যুবকের প্রেম ছিল। আর তার জেরেই ওই গৃহবধূর পরিজনরা শ্বাসরুদ্ধ করে তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। পুলিশ ওই অভিযুক্ত গৃহবধূ সহ তাঁর স্বামী এবং দেওরকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, মোমো খাওয়ার টোপ দিয়ে তাঁকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়।