সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : বছরের প্রথম দিনেই চন্দননগরে বন্ধ হল জুটমিল (Jute Mill)। চন্দননগরের (Chandannagar) গোন্দলপাড়া জুটমিলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস (Suspension of Work Notice)। নতুন বছরের (New Year) প্রথম দিনই কাজ হারিয়ে আতান্তরে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক। পুরভোটের মুখে চটকল বন্ধ হওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা (Political Rift)। চটকল বন্ধ নিয়ে একে অন্যকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত নেতারা।  কিন্তু কাজ হারানো শ্রমিকদের এখন চিন্তা একটাই, খাবার জুটবে কোথা থেকে? সংসার চলবে কীভাবে? 


শনিবার চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সকালের কাজে এসে মিলের গেটে এই নোটিস দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিসে মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি দামে কাঁচা পাট কিনতে হচ্ছে। আর্থিক সঙ্কটের কারণে মিল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


প্রায় ২ বছর বন্ধ থাকার পর, গত ১১ জুলাই খুলেছিল চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল। সাড়ে ৫ মাসের মাথায় ফের বন্ধ হয়ে গেল এই জুটমিল। সামনেই পুরভোট। তার আগে জুটমিল বন্ধ হওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। হুগলি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি সুরেশ সাউ বলেছেন, 'এই এলাকা অবাঙালি এলাকা। সেই কারণে মালিক পক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জুটমিল বন্ধ করিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের চক্রান্ত আমরা ভেঙে দেব।' এদিকে, তৃণমূল বিধায়ক ও শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেছেন, 'কাঁচা পাটের একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। পাটের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই কারণেই সমস্যা হচ্ছে। বিজেপির ২ জন সাংসদ কেন্দ্রের সঙ্গে যোগসাজসে ভোটের মুখে এসব করাচ্ছে।'


কয়েকমাস আগেই কার্যত লকডাউনের মধ্যেই তালা ঝুলল হাওড়ার চেঙ্গাইলের প্রেমচাঁদ জুটমিলে। কর্মহীন প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক। আজ সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলতে দেখেন। নোটিসে উল্লেখ, কাঁচামালের অভাবে আপাতত বন্ধ জুটমিল।


আরও পড়ুন- তালা ঝুলল হাওড়ার চেঙ্গাইলের প্রেমচাঁদ জুটমিলে, কর্মহীন ৪ হাজার শ্রমিক