সোমনাথ মণ্ডল, তারকেশ্বর: এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুর থেকে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হল। মৃত যুবকের নাম সুমন্ত বেরা (২৫)। হুগলির তারকেশ্বরের সন্তোষপুর পঞ্চায়েতের তেঘরি এলাকায় আজ সকালে এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার লিলুয়ায় একটি কারখানায় কাজ করতেন সুমন্ত। কিন্তু এক মাস ধরে কাজে যাচ্ছিলেন না তিনি। গত রবিবার রাতে হঠাৎই বাড়ি থেকে বের হয়ে যান এই যুবক। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে তার পরিবার। এরপর আজ সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুরে সুমন্তের মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। এলাকাবাসীর দাবি ভাল, ছেলে হিসাবেই পরিচিত ছিলেন সুমন্ত। তাঁর কোনও নেশাও ছিল না। এই যুবকের এহেন পরিণতি কেন হল, সেটা বুঝতে পারছেন না স্থানীয়রা।
পুকুরে এই যুবকের মৃতদেহ ভাসতে দেখে রহস্য দানা বেঁধেছে এলাকায়। কীভাবে মৃত্যু হল সুমন্তর, সেটা জানতে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাচ্ছে পুলিশ।
অন্যদিকে, কয়েকদিন আগেই পারিবারিক অশান্তির জেরে হুগলির সিঙ্গুরের নান্দায় আত্মীয়ের হাতে খুন হন চারজন। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে একই পরিবারের চারজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কাঠের ব্যবসায়ী দীনেশ পটেল ও তাঁর স্ত্রী অনসূয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সিঙ্গুর থেকে এসএসকেএম-এ আনা হলেও বাঁচানো যায়নি দীনেশের বাবা মাভজি পটেল ও ছেলে ভাবিক পটেলকে।
স্থানীয়দের দাবি, এক আত্মীয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল পটেল পরিবারের। এর জেরেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। খুনের অভিযোগ গ্রেফতার করা হয়েছে দীনেশের মামাতো ভাই দীপক পটেলকে। পুলিশ সূত্রে খবর, দীপক ওই কাঠের কলেই থাকতেন। তাঁকে জেরা করে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।