সৌরভ ঘোষ, চন্দননগর (হুগলি) : বিধাননগরের পর এবার চন্দননগর (Chandannagar)। ফের পুরভোটের প্রচারে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন প্রচারে গিয়ে গোন্দলপাড়া জুটমিলের শ্রমিক মহল্লায় 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। তাঁকে বাধা দেয় চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। 


এ নিয়ে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বাদানুবাদ হয় দিলীপ ঘোষের। মন কি বাত শেষ হওয়ার আগেই ফিরে যান তিনি। পুলিশের দাবি, কোভিড বিধি ভেঙে ৫ জনের বেশি সমর্থক নিয়ে অনুমতি ছাড়াই কর্মসূচি, তাই আটকানো হয়।


গতকালই চন্দননগর পৌরনিগম ভোটের প্রচারে আসেন দিলীপ ঘোষ। এরপর আজ গোন্দলপাড়া জুটমিলের শ্রমিক মহল্লায় যান। সেখানে তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। এনিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, তাঁরা ভোটের কোনও প্রচার করেননি। মন কি বাত অনুষ্ঠান দেখছিলেন। সেক্ষেত্রে কেন তাঁদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। শাসকদল কোনও অনুষ্ঠান করলে এ ধরনের বাধা দেওয়া হচ্ছে না। যদিও পুলিশের বক্তব্য, ৫০-এর বেশি লোক উপস্থিত ছিলেন। সেই কারণে তারা বাধা দিয়েছে।


আরও পড়ুন ; 'বিধি ভেঙে ৫ জনের বেশি লোক নিয়ে প্রচার', ফের দিলীপকে ‘বাধা’ পুলিশের


দিনকয়েক আগে বিধাননগর পুরভোটের প্রচারে দিলীপ ঘোষকে বাধা দেয় পুলিশ। ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই বিজেপি (BJP) প্রার্থী পিয়ালি বসু ও মলি পালের প্রচারে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির মিছিল EE ব্লকে ঢুকলে তা আটকে দেয় বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ।  নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে মিছিল আটকানো হয়, দাবি পুলিশের।


অন্যদিকে অভিযোগ ওঠে, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী মলি পালের হয়ে প্রচারের সময় দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) বাধা দেয় পুলিশ। পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে প্রচার করায় বাধা, দাবি বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশের। বাধা পেয়ে ফিরে যান দিলীপ ঘোষ। 'তৃণমূল মিছিল করলে আটকানো হয় না।' পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন দিলীপ।