সন্দীপ সরকার, রঞ্জিত সাউ, বিধাননগর: বিধাননগর পুরভোটের প্রচারে দিলীপ ঘোষকে বাধা পুলিশের। এদিন ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের দুই বিজেপি (BJP) প্রার্থী পিয়ালি বসু ও মলি পালের প্রচারে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির মিছিল EE ব্লকে ঢুকলে তা আটকে দেয় বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ।  নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে মিছিল আটকানো হয়, দাবি পুলিশের।


অন্যদিকে, অভিযোগ, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী মলি পালের হয়ে প্রচারের সময় দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) বাধা দেয় পুলিশ। পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে প্রচার করায় বাধা, দাবি বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশের। বাধা পেয়ে ফিরে যান দিলীপ ঘোষ। 'তৃণমূল মিছিল করলে আটকানো হয় না।' পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন দিলীপ ঘোষ।


এই ঘটনায় দিলীপ ঘোষকেই কটাক্ষ করেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ' কেউ বাধা দিচ্ছে না'।  তিনি আরও বলেন, বিজেপির পক্ষে আখন লোক জোগাড় করাই সমস্যা হচ্ছে। ভিন রাজ্য থেকে লোক আনতে পারছে না তারা। সেই সঙ্গে বুধবারের মতোই বৃহস্পতিবারও ফিরহাদ (Firhad Hakim) মনে করান, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের করে দেওয়া বিধি সকলকেই মেনে চলতে হবে, সব দলকেই। করোনা বিধি মেনেই প্রচার করতে হবে। 

অন্যদিকে, বুধবার  পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে বড়তোড়িয়ায় চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন তিনি। প্রচারে ভিড় হলেও দিলীপের দাবি, তাঁরা ৫ জনই এসেছেন।  বাড়তি লোক এসেছে রাস্তায়। যদিও এ নিয়ে দিলীপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ' পয়সা দিয়ে লোক এনে এখন যদি তাদের মেরে ফেলতে চায়, আমাদের কিছু বলার নেই। সব দয়িত্ব তো শুধু সরকারের নয়। দায়িত্ব্ববান রাজনীতিক হিসেবে দিলীপদারও দায়িত্ব আছে। ' 







 


আবার বিধাননগরেই বুধবার তৃণমূল এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোভিড বিধি ভাঙার অভিযোগ ওঠে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, বিধাননগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের অল-গলি চষে বেড়ালেন তৃণমূল প্রার্থী। 
আর এই নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে মুখে পড়েছে শাসক দল। 


আরও পড়ুন :


আগুন পোহাতে গিয়ে ঝলসে গেলেন মহিলা, এয়ারলিফট করে হাওড়ায় এনে চিকিৎসা