মোহন দাস, আরামবাগ: গালিগালাজের প্রতিবাদ করায় এক গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী ও ছেলেকে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ দুই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা গোঘাটের কুমুরসা গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিহরপুর গ্রামের। গতকাল সন্ধেবেলা এই ঘটনা ঘটে। ধারাল অস্ত্রের কোপে মারাত্মকভাবে জখম হন বাবা ও ছেলে। তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


স্থানীয় সূত্রে খবর, কালীপুজোর দিন এবং বিসর্জনের দিনে বচসা হয়। তখনই অভিযুক্তরা গালিগালাজ করে। তার প্রতিবাদ করেন পঞ্চায়েত সদস্যা সুনীতা সামুইয়ের ছেলে সুরজ ও স্বামী সুজিত। তার সেই জেরেই ধারাল অস্ত্রের কোপ মারে অভিযুক্ত দীলিপ পণ্ডিত ও সোমনাথ পণ্ডিত। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি এই গ্রামেই। এই ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এমনকী, ধৃতদের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।


আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী এবং স্থানীয় নেতা। অভিযুক্তরা আবার বিজেপি কর্মী। ফলে এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, ‘এলাকায় বিজেপির এই সমস্ত লোকজন আগে সিপিএমের হার্মাদ ছিল। এখন তারাই বিজেপি করে। আর আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যা সুনিতা সামুইয়ের স্বামী সুজিত তৃণমূল কর্মী। সুজিত ওদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন। তাই তাঁকে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারে বিজেপি কর্মীরা। তাঁকে বাঁচাতে যান ছেলে সুরজ। তখন তাঁকেও আরও ভয়ঙ্করভাবে কোপ মারা হয়। দু’জনকেই খুনের চেষ্টা করা হয়।’


যদিও গোঘাটের বিজেপির বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ‘প্রথম কথাই হল এটা কোনও রাজনৈতিক ব্যাপার নয়। কালীপুজোকে কেন্দ্র করে দুটো পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব। তৃণমূল এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে। এটা বিজেপি বা তৃণমূলের কোনও বিষয় নয়।’