সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি:   চন্দননগর (Chandernagore Municipal Corporation) সহ চার পুরসভায় (Municipal Election 2022)  ভোট কিছুদিন পরেই। এরইমধ্যে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের (Coronavirus) সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অতিমারীর এই দাপটে উদ্বেগ বাড়িয়েছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron)। পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে রাজ্য  নির্বাচন কমিশন প্রচারের ওপর বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।  এই অবস্থায় চন্দননগরের ২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মোহিত নন্দীর অভিনব প্রচার। করোনা আবহে  ভোটের প্রচারে অভিনবত্ব সংযোজন করল তাঁর এই পদ্ধতি। একটা ছোট অফিস বানিয়ে রীতিমত টেলিকলার বসিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী মোহিত।  


তিনি বলেছেন, চার থেকে পাঁচ জন নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়ত প্রচার করা যেত। কিন্তু মানুষের মনে ওমিক্রন নিয়ে বেশ ভয় দানা বেঁধেছে। এই অবস্থায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করলে মানুষের বিরক্তি বা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। তাই এই রকম টেলিকলার বসিয়ে প্রচারের কৌশল নেওয়া হয়েছে। আগে থেকে সমস্ত পরিস্থিতি আঁচ করে ডাটাবেস তৈরি করা ছিল। এখন ভোটারলিস্ট অনুযায়ী সেই ডাটাবেস ধরে ওয়ার্ডের হাজার পাঁচেক ভোটারকে এক এক করে ফোন করে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে।  কোনও রেকর্ডিং না চালিয়ে সরাসরি ফোন করার ফলে ভোটারদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন মোহিত।


উল্লেখ্য, চার পুরসভার ভোট নির্ধারিত সময়ে হবে কিনা, তা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। এদিন মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। করোনা আবহে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। উল্লেখ্য, পুরভোটের প্রচারে  আউটডোর সভায়) ২৫০ জনের বেশি থাকা যাবে না। ৫০০ থেকে কমিয়ে ২৫০ জনের সভায় অনুমতি দেয় কমিশন (West Bengal State Election Commission)। না মানলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানায় কমিশন। অভিযোগ এলে পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।