সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: নতুন বছর পড়তে না পড়তে পরপর কারখানায় তালা। এবার বন্ধ হল হুগলির চাঁপদানির নর্থব্রুক জুটমিল। একের পর এক কারখানা বন্ধ হতেই রাজ্য সরকারকে বিঁধে ট্যুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।
নতুন বছরের প্রথম দিনই বন্ধ হয়েছিল হুগলির চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল।দু’দিন আগে বন্ধ হয় ডানকুনির সোনা বিস্কুট ফ্যাক্টরি। এবার ঝাঁপ পড়ল চাঁপদানির নর্থব্রুক জুটমিলে। সোমবার রাতে কাজে যোগ দিতে গিয়ে কারখানার গেটের সামনে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস দেখেন শ্রমিকরা। রাতারাতি কর্মহীন হয়ে পড়লেন চার হাজারের বেশি শ্রমিক।
আচমকা কারখানা বন্ধ হওয়ায় রাজ্যের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে গেরুয়া শিবির। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক পক্ষও। গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই হুগলি শিল্পাঞ্চলের একটার পর একটা জুটমিলে তালা ঝুলছে। রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিল, শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিল এবং ভদ্রেশ্বরের শ্যামনগর জুটমিল বন্ধ হওয়ায় কাজ হারিয়েছেন হাজার হাজার শ্রমিক।
আরও পড়ুন, বর্ধমানে টানা ৭ দিন বন্ধ হোটেল, চায়ের দোকান, কাল থেকেই নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর
এবার সেই তালিকায় জুড়ল নর্থব্রুক জুটমিলের নাম। আর এই অবস্থায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটে লিখেছেন, রাজ্যে শিল্পায়নের কী দশা, তা চলতি বছরের প্রথম দশদিনেই স্পষ্ট। সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলেছে চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল, নৈহাটি জুটমিল ও ডানকুনির সোনা বিস্কুট কারখানায়।
প্রত্যুত্তর দিতে দেরি করেনি তৃণমূলও। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির জন্যই জুটমিলগুলি বন্ধ হচ্ছে। এর জন্য রাজ্য সরকার দায়ী নয়। আমরাই জুটমিল খোলার চেষ্টা করছি। এটা নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। এদিকে, কারখানা খোলার দাবিতে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখান ভদ্রেশ্বরের শ্যামনগর জুটমিলের কর্মহীন শ্রমিকরা।