সোমনাথ মিত্র ও সৌরভ বন্দ্যাপাধ্যায়, হুগলি: পুলিশের আপত্তি সত্ত্বেও, লক্ষ্মীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজে। এই ঘটনা নিয়ে হরিপালে ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়েছে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ারও অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন। এই ঘটনায় পুজো কমিটির ১৫ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে থোড়াই কেয়ার করে ডিজে বাজিয়েই লক্ষ্মীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা করা হল হরিপালে। তাড়স্বরে মাইক বাজিয়ে কাতারে কাতারে লোক নিয়েই চলল এই মিচিল। এ ছবি হুগলির হরিপালের মোসাইমোড় এলাকার। যে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায়, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮২। সেখানে এমন ঘটনায় চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনেরই। হরিপালের অগ্রদূত ক্লাবের এক সদস্য মন্টু বলেন, "ইয়ং বলে করি, বয়স হলে তো আর করবো না। লোকে তো সিগারেট খায়, মদ খায়। ক্ষতি জেনেই তো খায়।"
পুলিশ-প্রশাসনের আপত্তি উপেক্ষা করে, বৃহস্পতিবার রাতে, এলাকায় বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের করে স্থানীয় এক পুজো কমিটি। রাস্তা আটকে চলে নাচ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশকর্মীরা। বারণ সত্ত্বেও কর্ণপাত করেননি উদ্যোক্তারা। এরপরই পুলিশ শোভাযাত্রা বাধা দিতে গেলে, সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন।
অভিযোগ, আশপাশের ঘর-বাড়িতে ভাঙচুর চালায় যুবকরা। ভাঙচুর চালানো হয় একের পর এক দোকানে। এক স্থানীয় বাসিন্দা কিরণচন্দ্র ভড় বলেন, "ইট মেরে বাড়ির কাঁচ ভাঙা হয়। দোকানের দরজাও ভাঙা হয়। পুলিশ বাধা দিতেই মারধর। ইট ছোড়ে ছেলেরা। আশেপাশে অনেক দোকান ভাঙচুর করেছে।। অনেক পুলিশকে মারধর করেছে।" অপর আরেক বাসিন্দা শ্রীকান্ত সিংহের কথায়, "প্রত্যেক বছর এক ই সমস্যা। প্রচুর অত্যাচার, প্রচুর শব্দ। মানুষ বললেও শোনে না। উল্টে মানুষকে মারধর করে পুজো কমিটির লোকজন। তাই পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে।"
পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধেও উঠেছে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ প্রশাসন। হুগলির পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, "হরিপালে সরকারী নির্দেশ অমান্য করে পুজো কমিটির শোভাযাত্রা বার করে। পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের উপর চড়াও হয়। ইট পাটকেল ছোড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনা হয়। পুলিশকে মারধরের ঘটনায় ১৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।"