সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রানা দাস, কোন্নগর: হুগলির কোন্নগরে উদ্ধার গবেষক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। প্রেমিক আত্মঘাতী হয়েছেন, এই খবর পেয়ে ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি পরিবারের। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। তাতে লেখা, "কিছুই না, সামান্য ঝগড়া হয়েছিল আমাদের। মরে যাচ্ছি, কারও কথা ভাবি না বলে না। ও যে বিনা কারণে চলে গেল তার জন্য। সবাই আমাকে দায়ী করবে। আমার ফ্যামিলিকে দায়ী করবে, তাই যাচ্ছি।"
একদিকে, প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণা, তার সঙ্গে, প্রিয়জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী হওয়ার ভয়ই কি কাল হল? হুগলির কোন্নগরে গবেষক ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উঠছে এই প্রশ্ন গুল।
আরও পড়ুন: অনলাইন ক্লাসে নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে শিক্ষিকার বকুনির জের! আত্মঘাতী বছর ১১-র স্কুলছাত্রী
মৃত ছাত্রীর নাম পূজা শীল। দর্শনে পিএইচডি করছিলেন। মৃত ছাত্রীর পরিবারের দাবি, বুধবার রাতে কোন্নগরের ন’পাড়ার ভাড়া বাড়িতে প্রেমিক মনোজিৎ সিংহর আত্মঘাতী হওয়ার খবর পান পূজা। তাঁকে দেখতেও যান। রাতে বাড়ি ফিরে আত্মঘাতী হন এই ছাত্রী।
আত্মঘাতী ছাত্রীর মা দাবি করেন, বাথরুম থেকে ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়, প্রেমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে আত্মঘাতী হয়। কী কারণে ছাত্রী আত্মঘাতী হলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পারিবারিক অশান্তির জের, মায়ের হাতের শিরা কেটে খুনের পর আত্মঘাতী ছেলে
মৃত মনোজিৎ সিংহর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। পরিবারের দাবি, কলকাতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন মনোজিৎ। পুজোর সময় গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। পরিবারের সঙ্গে তারাপীঠে ঘুরতেও যান। পরিবার জানত, সে কলকাতায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকে। কিন্তু, সে কেন কোন্নগরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকার কথা জানায়নি, তা নিয়ে ধন্দে পরিবার।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোনে আসক্তি, পান্ডুয়ায় পরিবারে বকুনি খেয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী