সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : নবমীর রাতে ঠাকুর দেখে ফেরার পথে, মত্ত যুবকদের হাতে আক্রান্ত মা-মেয়ে। মাথা ফাটল মায়ের। ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির উত্তরপাড়ার পাতকুয়াতলা এলাকায়। স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরছিলেন মহিলা। অভিযোগ, বাড়ির দরজার সামনে ৬ যুবক ও যুবতীকে নিজেদের মধ্যে গালিগালাজ করতে দেখে তাঁরা প্রতিবাদ করেন। তখনই মহিলার মেয়ের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। মেয়েকে বাঁচাতে গেলে মারধরে মাথা ফাটে মহিলার। এই ঘটনায় তিন যুবতীকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, সঙ্গী যুবকদের আটক করে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।
উত্তরপাড়ার পাতকুয়াতলা এলাকায় নবমীতে রাত দুটো নাগাদ এই ঘটনা ঘটে।এলাকারই বাসিন্দা মাধুরী সিং, তাঁর মেয়ে জ্যোতি সিং মাইতিকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরছিলেন।রাস্তায় সে সময় তিন যুবতী ও তাদের তিন সঙ্গী যুবক মদ্যপ অবস্থায় গালিগালাজ করছিল।কেন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে গালিগালাজ করছে জিজ্ঞাসা করায় জ্যোতিকে মারধর শুরু করে, আঁচড়ে খিমচে দেয় এক যুবতী।মাধুরী দেবীকে মাথায় জলের বোতল দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। পড়ে গিয়ে মাথা ফাটে তাঁর।চিৎকার চেঁচামেচিতে এলাকার বাসিন্দারা ছুটে আসেন।ফোন করলে পুলিশ হাজির হয়। অভিযোগ পুলিশকেও অকথ্য গালিগালাজ করতে থাকে অভিযুক্তরা।উত্তরপাড়া থানার পুলিশ তিন যুবতীর সঙ্গীদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মাধুরী সিং বলেন, ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরছি, তখন দেখি ওরা মাতলামি করছে।আমার স্বামী ওদের বারন করতে যায়।মেয়ে জিজ্ঞাসা করল, কেন এসব করছে। এরইমধ্যে হঠাৎ মেয়ের উপর চড়াও হয়ে তার মঙ্গল সূত্র ছিঁড়ে দেয় ,আঁচড়ে খিমচে মারধর করে।আমাকেও বোতল দিয়ে মারে। জ্যোতি বলেছেন,ওদের গায়ে কেউ হাত দিয়েছিল বলে নাকি চিৎকার করে গালি দিচ্ছিল।প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল।পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে।