মোহন দাস, হুগলি: স্ত্রী ও ৬ বছরের মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন (Murder Case) করার পর নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা স্বামীর। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাটের কামারপুকুর এলাকায়। মৃত স্ত্রীর নাম শিল্পা দত্ত ও মেয়ে অদ্রিজা দত্ত। জখম ব্যাক্তির নাম মৃণাল দত্ত।
শিল্পা দত্ত দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন মৃনাল দত্তকে
জানা গিয়েছে, মৃণাল দত্তের বাড়ি নদিয়া জেলায় (Nadia District)। পেশায় হোটেল ম্যানেজমেন্টে তিনি কর্মরত ছিলেন। চার মাস আগে কামারপুকুরের মধুবাটি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া নেন তিনি। সেখানেই স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া ছিলেন। যদিও শিল্পা দত্ত দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন মৃনাল দত্তকে। অদ্রিজা, শিল্পার প্রথম পক্ষের সন্তান।
কেন এই ভয়াবহ ঘটনা ? খুনের আগে কোনও ইঙ্গিত ?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মাস বাইরে থাকার পর কয়েক দিন আগে ভাড়া বাড়িতে ফেরেন। তারপর থেকে চাপা অশান্তি চলছিল। তারপর সোমবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয় শিল্পা ও ৬ বছরের মেয়ের।শিল্পার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।পাশাপাশি ৬ বছরের মেয়ে অদ্রিজার ঘারে বারবার ছুরি দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন রয়েছে।দুজনকে খুন করার পর নিজেও ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মৃণাল দত্ত।
দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ
বাড়ির ভেতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল তিন জন। সোমবার বেলা হওয়ার পরও না ওঠায় দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করা হয়। তারপর প্রতিবেশীও কামারপুকুরে থাকা তাঁদের আত্মীয়দের খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে আত্মীয়রা এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ। গোটা ঘরে রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর পরে রয়েছে রক্তাক্ত দেহগুলি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গোঘাট থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন, 'জ্যাংড়ায় ভোটের ফল মামলার চূড়ান্ত রায়ের ওপর নির্ভর করবে', নির্দেশ বিচারপতির
যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর মিলবে, মৃণাল দত্ত সুস্থ হয়ে ওঠার পরেই
মৃতদেহগুলো উদ্ধার করার পাশাপাশি মৃণাল দত্তকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু কেন বারবার এমন নৃশংসতার ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসছে ? কেন এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটালেন মৃণাল দত্ত ? আসলে এর পিছনে কী কারণ লুকিয়ে রয়েছে ? আদৌ কী তিনি এর জন্য দায়ি ? যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর মিলবে, মৃণাল দত্ত সুস্থ হয়ে ওঠার পরেই।