সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দননগর (হুগলি) : ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু (Dengue Death)। চন্দননগরে (Chandannagar) ডেঙ্গি আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু। নাম অভিষেক হরিজন(২১)। বাবা রাজেশ হরিজন। বাড়ি চন্দননগর কলুপুকুর এলাকায়।


গত সপ্তাহে জ্বর আসে অভিষেকের। ২৮ অগাস্ট তাঁকে চন্দননগর হাসপাতালে (Chandannagar Hospital) ভর্তি করা হয়। এনএস-১ পরীক্ষায় পজিটিভ আসে। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। এরপর রবিবার অবস্থার অবনতি হয়। গতকাল তাঁর মৃত্যু হয়।


হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (Hooghly CMOH) রমা ভুঁইঞা বলেন, 'খবর পেয়ে আমি টিম নিয়ে চন্দননগর গিয়েছিলাম। রোগীর চিকিৎসা চলছিল। দুঃখজনক ঘটনা। হাসপাতালে আলাদা করে কিছু ব্যবস্থা নিতে বলেছি। ডেঙ্গির উপসর্গ নিয়ে এলে তাঁকে নার্সিং স্টেশনের কাছে রাখতে হবে। কবে জ্বর এসেছে সেই তারিখ বেডের গায়ে লিখে রাখতে হবে। তিন দিনের মাথায় ডেঙ্গি রোগী খারাপ হতে শুরু করে। হাইব্রিড সিসিইউ খোলার নির্দেশ দিয়েছি। অনেক সময় সাধারণ জ্বর পরীক্ষার পর ডেঙ্গি ধরা পড়ছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি দেখার জন্য। যে এলাকায় ডেঙ্গি ধরা পড়বে এখানে ধরে নিতেই হবে এডিস মশা রয়েছে। তাই সেই এলাকায় বাড়তি নজর দিতে হবে। দিনে রাতে মশারি (Mosquitoes) টাঙাতে হবে। স্বাস্থ্য কর্মীদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।'


আরও পড়ুন ; ডেঙ্গি বাড়তেই প্লেটলেটের হাহাকার ! বিপাকে ক্যান্সারের রোগীরাও


হুগলি জেলায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্ত ১৯২৭ জন। গত এক মাসে ১৩১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শহরাঞ্চলের মধ্যে সবথেকে বেশি শ্রীরামপুরে ২৪৮ জন আক্রান্ত। চন্দননগরে ৯১ জন। গ্রামাঞ্চলের মধ্যে হরিপালে আক্রান্ত ২৬২ জন। প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৫০ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। শ্রীরামপুর পুরসভা (Srirampore Hospital), হরিপাল (Haripal), বলাগড়, সিঙ্গুর চণ্ডীতলা-১ ব্লককে রেড জোন করা হয়েছে।


CMOH বলেন, "এখন ভাইরাল ফিভারও হচ্ছে। অনেকেই ভয় পেয়ে বড় হাসপাতালে ভর্তি হতে চাইছেন। এতে ওভার লোড হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সিস্টেম রেডি আছে। ব্লক হাসপাতাল রেডি আছে। ফিভার ক্লিনিকগুলিতে চিকিৎসকরা চেকআপ করে সন্দেহ হলে পরীক্ষা করে নেবে। আমাদের অনলাইন মিটিং হয়। জেলা হাসপাতালকে নোডাল করে জেলার অন্য হাসপাতালগুলিকে ট্যাগ করা হয়েছে। যাতে দিনে রাতে পরামর্শ পাওয়া যায়।


আরও পড়ুন ; উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি, সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কে অপ্রতুল প্লাজ়মা, শঙ্কায় রোগীর আত্মীয়রা