সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: সম্পত্তি হাতাতে ২৫ হাজার টাকার চুক্তিতে সুপারি কিলার দিয়ে দাদাকে খুন করানোর অভিযোগ। গ্রেফতার ভাই-সহ ২। শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুরের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে একমাত্র অভিযুক্তই বিবাহিত। এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। আরেক ভাই অসুস্থ। অভিযোগ, সেই সুযোগ নিয়ে দিল্লি রোডের ধারে কয়েকলক্ষ টাকার পারিবারিক সম্পত্তি হস্তগত করার চেষ্টা করছিল অভিযুক্ত। এর মধ্যেই তিনদিন আগে বাড়ির পাশে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় বড়ভাইয়ের দেহ। খুনের অভিযোগে সুপারি কিলার ও ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


সম্পত্তির লোভে দাদাকে খুনের অভিযোগ: শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুরের দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা গৌতম দাস(৫৮)। তাঁরা পাঁচ ভাই এক বোন। এক ভাইয়ের বছর দুয়েক আগে মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে এক ভাই ঊজ্জ্বল একমাত্র বিবাহিত। তিনি আলাদা বাড়িতে থাকেন। বাকি ভাই বোনেরা থাকেন একসঙ্গে থাকেন। জানা গিয়েছে, দিল্লি রোডের পাশে বহু টাকার জমি ও সম্পত্তি রয়েছে তাঁদের। সম্পত্তির লোভে দাদাকে খুনের ছক করে ভাই ঊজ্জ্বল। গত বৃহস্পতিবার দাসপাড়ারই একটি পুকুর থেকে গৌতম দাসের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা দেহ পুকুরে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পিয়ারপুর ফাঁড়ির পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তে।


মৃতের ছোটো ভাই উৎপল অভিযোগ দায়ের করেন শ্রীরামপুর থানায়। তদন্তে নামে পুলিশ। প্রথমে কৃষ্ণ সরকার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। মাঠপাড়ার বছর তিরিশে কৃষ্ণ পুলিশের নজরে ছিল তার অসামাজিক কাজের জন্য। কৃষ্ণকে জেরা করে উজ্জ্বলকে আটক করে। দুজনকে জেরা করে খুন ও খুনের কারণ জানতে পারে পুলিশ। সম্পত্তির লোভে কৃষ্ণকে খুনের ভার দেয় ঊজ্জ্বল। জানা গিয়েছে, ২৫  হাজার টাকায় রফা হয়। অগ্রিম পাঁচ হাজার টাকা দেয় কৃষ্ণকে।


পুলিশ সূত্রে খবর, পুকুরের ধারে গৌতমকে খুন করে ফেলে রাখা হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে এর আগে দুটো জমি ঊজ্জ্বল তার ভাইদের না জানিয়ে বিক্রি করে দেয়। তা নিয়ে অশান্তি ছিল পরিবারে। ঘটনায় ভগ্নিপতি বিজয় মণ্ডলও জড়িত আছে বলে সন্দেহ। তাঁর খোঁজে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তল্লাশি। ধৃতদের আজ শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হবে। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালানোর আবেদন জানাবে পুলিশ।


আরও পড়ুন: Road Landslide: বড়বাজারের নেতাজি সুভাষ রোডের একাংশে ধস, শুরু মেরামতির কাজ