সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: তৃণমূল নেতা শান্তনু গ্রেফতারে মিষ্টিমুখ বিজেপি নেতাদের। যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্য়ায় গ্রেফতার (Santanu Banerjee Arrested) হতেই এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ বলাগড় ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর অঞ্চলে একাধিক জায়গায় মিছিল করে মিষ্টিমুখ করালেন সাধারণ মানুষকে বিজেপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বহু জায়গায় তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে পোস্টারও দিলেন বিজেপির নেতা কর্মীরা (BJP Leaders)।


প্রসঙ্গত,  বলাগড়, চন্দননগর, চুঁচুঁড়া-হুগলি জুড়ে 'রাজা' শান্তনুর সাম্রাজ্যর কথা প্রকাশ্যে এসেছে। হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের একের পর এক সম্পত্তির (Property)হদিশ মিলেছে। এখানেই শেষ নয়, বিলাসবহুল বাড়ি থেকে রিসর্ট, ধাবা, গেস্ট হাউস, হুক্কা বারের হদিশ মিলেছে।  মূলত মোবাইল দোকানের কর্মী থেকে রকেট গতিতে যুব তৃণমূল নেতার উত্থান। ধৃত তৃণমূল নেতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২০টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। বলাগড়ে ক্যামেরা মোড়া শান্তনুর বিলাসবহুল বাড়ি, গ্যারাজে জোড়া গাড়ির সন্ধান মিলেছে।


জিরাটের আসাম রোডে শান্তনুর বিলাসবহুল ধাবায় লাউঞ্জ, হুক্কা বার। ধাবার উল্টোদিকে 'ইচ্ছেডানা' গেস্ট হাউস, এর মালিকও শান্তনু, দাবি স্থানীয়দের।বলাগড়ে বিলাসবহুল রিসর্টের সন্ধান মিলেছে, যার মালিকও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুলে চাকরি বিক্রির টাকাতেই কি একের পর সম্পত্তির মালিক শান্তনু ? প্রশ্ন উঠেছে। এদিন টুইটে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'প্রতি চাকরি পিছু নুন্যতম ১৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। ১০৯.৫ কোটি টাকা শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূল নেতাদের পকেটস্ত হয়েছে। বাংলার মানুষের থেকে কোটি কোটি টাকা লুঠে, বাংলার মানুষকে গরীব বানিয়ে, তৃণমূল নেতারা বড় বড় অট্টালিকা বানিয়েছে।'


আরও পড়ুন, 'বাংলার মানুষের টাকা লুঠে তৃণমূল নেতারা অট্টালিকা বানিয়েছে', বিস্ফোরক দিলীপ


ইডি-র দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি করে দিতে সরাসরি মানিকের কাছে সুপারিশ করতেন শান্তনু। প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থী পিছু ৪-৫ লক্ষ টাকা করে নিতেন তিনি। যে ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা পাওয়া গিয়েছিল শান্তনুর বাড়ি থেকে, তার মধ্যে ২০ জনের চাকরি করে দিয়েছিলেন। ওই ২০ জবন চাকরিপ্রার্থী সম্পর্কে বিশদ তথ্য মিলেছে বলে দাবি ইডি সূত্রের। চাকরিপ্রার্থীদের চাকরির জন্য সরাসরি মানিক ভট্টাচার্যর কাছে সুপারিশ করতেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে দাবি, চাকরিপ্রার্থী পিছু চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়েছেন শান্তনু। তাঁর বাড়ি থেকে মোট ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা পেয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। উদ্ধার হয়েছিল তাঁদেরর সুপারিশপত্র এবং অ্যাডমিট কার্ড।