হিন্দমোটর : রাজ্য়ে ফের শ্য়ুটআউট। হিন্দমোটরে ব্য়বসায়ীকে লক্ষ্য় করে গুলি। পেট ও বুকের মাঝখানে গুলি লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আহত ব্য়ক্তি। কিন্তু কী কারণে গুলি? কে বা কারা গুলি চালাল, পুরোটা নিয়েই এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। ব্য়ক্তিগত শত্রুতার জেরে গুলি চালানো হল কি না তা খতিয়ে দেখছে চন্দননগর কমিশনারেট।


স্থানীয় সূত্রের খবর, হিন্দমোটরের ঘোষপাড়ায় গঙ্গার ঘাটের কাছে এক জায়গায় ডিম নামানো হয়। আজ ভোরে সেখানে গিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। সেই সময় কয়েকজন তাঁর উপর আক্রমণ করে। তাদের প্রত্যেকের মুখ ঢাকা ছিল। প্রথমে তাঁকে ছুরি দিকে আক্রমণ করা হয়। কিন্তু, ছুরি না লাগার পরে তাঁকে গুলি করা হয়। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উত্তরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 


দিনকয়েক আগেই বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করায় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল বাইক আরোহীর বিরুদ্ধে। নদিয়ার (Nadia) কালীগঞ্জের ঘটনার ছবি ভাইরাল হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় প্রতিবাদীকে ভর্তি করা হয় এনআরএস হাসপাতালে (NRS Hospital)। ঘটনায় ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police)।


ভিড়ের মধ্যে শূন্যে গুলি ছুড়ছে এক যুবক। শুধু তাই নয়, একেবারে মারমুখী মেজাজে বাঁশ, লাঠি নিয়ে একপক্ষ তেড়ে যাচ্ছে  অপর পক্ষের দিকে। তার মধ্যে আতঙ্কে ছোটাছুটি করছেন এলাকায় উপস্থিত লোকজন। নদিয়ার কালীগঞ্জের পালিতবেড়িয়া গ্রামের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বেপরোয়া গতিতে বাইক চালানোর প্রতিবাদ করায় গুলি চালায় বাইক আরোহী। এই ঘটনার পর থেকে ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে।


প্রশ্ন উঠছে, মুড়ি মুড়কির মতো আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে আসছে ? কীভাবেই বা বেআইনি অস্ত্র পৌঁছে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের হাতে ?


ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল ৫টা, স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পাশের গ্রামের এক যুবককে বেপোরোয়া গতিতে বাইক চালিয়ে যেতে দেখে প্রতিবাদ করেন আশাদুল শেখ নামে এক ব্যক্তি। তখনকার মতো বাইক আরোহী সেখান থেকে চলে গেলেও, স্থানীয়দের অভিযোগ, পরে দলবল নিয়ে চড়াও হয় অভিযুক্ত। আর তখনই প্রতিবাদী আশাদুলকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বছর ৪০-এর আশাদুল শেখের বুকে গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে কালীগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে।