হুগলি: 'দুর্নীতি' (Corruption) খুঁজতে ফের বঙ্গে কেন্দ্রীয় দল (Central Team)। ১০০ দিনের কাজে 'দুর্নীতি'র খোঁজে হুগলির বলাগড়ে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের টিম। অতিরিক্ত জেলাশাসক, বিডিও, পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে বৈঠক। আবাস যোজনার ঘর নিয়েও তথ্য নিল কেন্দ্রীয় দল।


সম্প্রতি আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। বাঁকুড়া শহরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও তাঁর ছেলেকে কুপিয়ে খুনের পিছনে রয়েছে বাঁকুড়া পুরসভার আবাস 'দুর্নীতি'। এই অভিযোগ তুলে বাঁকুড়ায় রাস্তায় নেমে পড়ে বিজেপি। বাঁকুড়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল করার পাশাপাশি এদিন মাচানতলায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির অভিযোগ, অপরের জমির একাংশের উপর বাড়ি তৈরিতে অভিযুক্তকে আবাস যোজনার সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল বাঁকুড়া পুরসভা। সেই বাড়ি ঘিরেই শুরু হয় দুই প্রতিবেশীর বিবাদ। যার অন্তিম পরিণতি জোড়া খুন। বাঁকুড়া পুরসভা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


শহরের বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, সম্প্রতি বাঁকুড়া পুরসভা 'হাউস ফর অল' প্রকল্পে অভিযুক্তদের বাড়ি তৈরির টাকা পাইয়ে দিয়েছে । অভিযোগ, সেই টাকাতেই প্রতিবেশী মথুরামোহন দত্তর মালিকানাধীন জমির একাংশ দখল করে বাড়ি নির্মাণ করে অভিযুক্ত পিন্টু রুইদাস। সম্প্রতি মথুরামোহন দত্তর আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট পিন্টু রুইদাসের বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়।


বছরের শুরুতে মিড ডে মিল দুর্নীতির (Midday Meal Scam) অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মালদায় এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Team)। বেসরকারি হোটেলে জেলাশাসক ও অতিরিক্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। দুটি দলে ভাগ হয়ে মালদা উত্তর ও মালদা দক্ষিণের বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছিল কেন্দ্রীয় দল। রাজ্যে মিড ডে মিল দুর্নীতি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে টুইট করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।


আরও পড়ুন, বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে অভিষেকের সওয়াল, মুখ খুললেন ফিরহাদ


শুভেন্দু  বলেছিলেন, মনে হচ্ছে সত্য অনুসন্ধানে, তাঁদের ওপর ভরসা করা হচ্ছে, যারা সত্যকে লুকোতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। রাঁধুনিদেরও এতে সামিল করা হয়েছে। তাদের বেতন ও ইনসেন্টিভ সময়ের আগেই দেওয়া হচ্ছে। এটা পশ্চিমবঙ্গ। যদি পড়ুয়াদেরও হুমকি দেওয়া হয়, অবাক হব না। মিড ডে মিলের অনুসন্ধানে কেন্দ্রীয় দলকে কয়েকটি বাছাই করা স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য় সরকারি আধিকারিকরা, অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। হাতেনাতে ধরতে আগাম খবর না দিয়ে যে কোনও স্কুলে যাওয়া উচিত।'