সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : দিনে দিনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ডেঙ্গি ( Dengue ) । অকালে ঝরে যাচ্ছে একের পর এক প্রাণ। হুগলি ( Hoogly ) জেলাতেই হু হু করে বাড়ছে মশাবাহিত এই রোগ। একের পর এক মৃত্যুর খবর আসছে হুগলি থেকে। শুধু উত্তরপাড়া থেকেই ডেঙ্গি আক্রান্ত ( Dengue Death ) হয়ে প্রাণ গিয়েছে । শুধু উত্তরপাড়াতেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।  


ডেঙ্গি মোকাবিলা নিয়ে বচসা, প্রশাসন ব্যর্থ বলায় বিজেপি নেত্রীকে চড় কষালেন পুরকর্মী!


ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর


ফের হুগলি জেলা থেকে  ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর খবর। মৃতের নাম কায়ানাত পরভিন। বছর ১৫-র কিশোরী বৈদ্যবাটি পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। জ্বর থাকায় শুক্রবারই শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, রাতেই মৃত্যু ওই কিশোরীর । সাফাই ও মশা নিধনে পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  একমাসে হুগলিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হল। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুতই। বর্ষা গেল। শীত উঁকি দিচ্ছে শহরে। অথচ ডেঙ্গির প্রকোপ কমার লক্ষণ নেই। 


রাজনৈতিক তরজা 
অন্যদিকে, রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে শুধু হয়ে গিয়েছে রাজনীতির আকচাআকচি। রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ হাজার ২৫১। মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছে। এরই মধ্যে রাজ্যে এসে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী।  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী  ভারতী প্রবীণ পওয়ার শুক্রবার বলেন, ' ডেঙ্গি তথ্য সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারকে জানানো উচিত রাজ্য সরকারের। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পোর্টালে সব রাজ্য থেকে ডেঙ্গির তথ্য আসে। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ ডেঙ্গি সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাঠায়নি। কেন্দ্র, রাজ্য সরকারের সঙ্গে একযোগে মানুষের জন্য কাজ করতে চায়। কেন্দ্র এর জন্য বাজেটও বরাদ্দ করে। গতকাল আমি আমার দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, ডেঙ্গিতে কতজন আক্রান্ত, সেই তথ্য এখনও রাজ্য সরকার আমাদের পাঠায়নি।' 


এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মেজাজ হারান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ' দুর্ভাগ্য হচ্ছে তকেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর স্ট্যাটাসে যদি উনি এখানে আসতেন তাহলে এই ধরনের কথা বলতেন না। এই কথা এখানকার বিজেপি নেতারা যেহেতু বাজার গরম করার জন্য বলছে, তারই প্রতিধ্বনি উনি করেছেন' 


আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে তরজা চলছে। এরই মধ্যে ক্রমে ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে মশাবাহিত এই রোগ। ভয়ঙ্কর হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যু।