বাপন সাঁতরা, হুগলি: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। অভিযোগের তীর স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় হুগলির খানাকুলে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার রাতে বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে খানাকুল থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। পুলিশের বিরুদ্ধে চলে স্লোগান।


স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের নেতৃত্বে মধ্যরাত অবধি থানা ঘেরাও করে রাখে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তাঁরা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ, এদিন বিকেলে খানাকুলের মাড়োখানা পঞ্চায়েতের এক বিজেপি সদস্যা,  স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মিটিং সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় প্রতিবেশী কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁকে ঘিরে ধরে হেনস্তা ও শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটে ওই এলাকায় বিজেপি জেতার পর থেকেই নানাভাবে ওই পঞ্চায়েত সদস্যাকে হেনস্তা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।


এদিন তাঁকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে জানানোর পরেও কোনওরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই এদিন রাতে বিধায়কের নেতৃত্বে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। নির্যাতিতা পঞ্চায়েত সদস্যার অভিযোগ, বিজেপি করার আক্রোশেই এই ঘটনা। গত কয়েক মাস ধরেই এই ধরণের ঘটনা হচ্ছিল। 


এই ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক 'রাজ্যে নারী নিরাপত্তা' নেই বলে সরব হন। তিনি অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এবিষয়ে তাঁরা লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলে জানান। তবে এবিষয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, শ্লীলতাহানির ঘটনা হলে তা খুবই নিন্দনীয়। যদিও পারিবারিক ঘটনাকে বিজেপি রাজনৈতিক রং দিতে চাইছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল বা রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।


আরও পড়ুন, 'চার্জ গঠন আটকাতেই কি বিকাশের গ্রেফতারি?' কোথায় দাঁড়িয়ে কয়লা পাচার মামলা ?


অতীতে একাধিক ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগের ঘটনায় দ্রুত মৃতদেহ দাহ করার ইস্যু উঠেছে। একাধিক মামলা রাজ্য পুলিশের হাত থেকে স্থানান্তরিত হয়ে,  কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গিয়েছে। এবং সেই সকলক্ষেত্রে মৃতদেহ দাহ করলে, আর পুনরায় ময়না তদন্তের সুযোগ থাকছে না। যদিও এর মধ্যে কিছু ব্যতিকর্মী ঘটনাও রয়েছে। যেখানে কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এদিকে সদ্য ঘটে যাওয়া আরজি কর কাণ্ডে এখনও প্রতিবাদের ঝড় দিকে দিকে। এবার যেনও অদ্ভুত এক আঁধার গ্রাস করেছে আমাদের চারপাশকে! নাবালিকা থেকে তরুণী, কিশোরী থেকে গৃহবধূ, লালসার হাত থেকে কারোরই যেন রেহাই নেই! হাসপাতাল, পরিত্যক্ত জমি, ধানখেত, নদীর চর, পুজো মণ্ডপ, নানা প্রান্ত থেকে উদ্ধার হচ্ছে নারীর নিথর দেহ। সবচেয়ে উদ্বেগের হল দীর্ঘ হয়েই চলেছে এই তালিকা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।