সোমনাথ মিত্র, হরিপাল : হুগলির (Hooghly) হরিপালে জাতীয় সড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় (Accident) মৃত এক । নাম উত্তম দাস(৫০)। আহত হয়েছেন ২০ জনের বেশি। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে আসেন হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি আফজাল আবরার সহ আধিকারিকরা। কিন্তু, কীভাবে দু'টি দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে , আজ সকালে SBSTC-র একটি বাস বর্ধমান থেকে করুণাময়ী আসছিল। হরিপাল থানার অন্তর্গত কানগোই এলাকায় জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ির পেছনে ধাক্কা মারে বাসটি। বাসে কমবেশি ৫০ জন যাত্রী ছিলেন বলে দাবি আহত এক বাস যাত্রীর। দুর্ঘটনায় ২০ জনের বেশি যাত্রীর চোট- আঘাত লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হরিপাল থানার পুলিশ গুরুতর আহত সাত জন যাত্রীকে উদ্ধার করে সিঙ্গুর গ্ৰামীণ হাসপাতাল পাঠায়। বাসের আহত অন্য যাত্রীদের পরিবারের লোকেরা এসে চিকিৎসার জন্য তাঁদের অন্যত্র নিয়ে যান।
এই ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে ডানকুনি-বর্ধমানমুখী রাস্তায় একটি বাইকের সঙ্গে একটি গাড়ির ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনায় বাইকে থাকা দুই আরোহী গুরুতর জখম হন । তাঁদের উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হলে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন হাসপাতালের চিকিৎসক। মৃতের নাম- উত্তম দাস।
সরকারি বাসে থাকা এক যাত্রী সুকান্ত রায়চৌধুরী দুর্ঘটনার বিষয়ে জানান, বাসে কম-বেশি ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। রাস্তায় হঠাৎই জোরে ব্রেক মেরে একটি ট্যাঙ্কারের পেছনে ধাক্কা মারে গাড়িটি। ঘটনায় অধিকাংশেরই চোট আঘাত লাগে। কারও মুখ ফেটে যায়, কারও কপালে আঘাত লাগে।
এদিকে হাওড়াতেও আজ পরপর বির্পযয় ঘটে। সাতসকালে হাওড়ার একটি কারখানা ও গুদামে লেগে যায় বিধ্বংসী আগুন। কালো কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। দূর থেকে দেখে যায় লেলিহান শিখা। পাশেই পেট্রোল পাম্প। দুর্ঘটনা আরও ভয়বহ হতে পারে ভেবে বন্ধ করা হয় সেটি।
ফোরশোর রোডে অগ্নিকাণ্ডের পর ঘুসুড়ির কালীতলায় ভেঙে পড়ে হনুমান জুটমিলের ছাউনি ও পাঁচিল (Wall and Shade Collapsed)। ৩-৪ জন শ্রমিকের আটকে পড়ার আশঙ্কা। এদিন ৬টায় মর্নিং শিফট শুরু হওয়ার পরেই এই বিপর্যয় ঘটে। আচমকাই ভেঙে পড়ে জুটমিলের পাঁচিল সমেত ছাউনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ। ধ্বংসস্তূপের নীচে কেউ আটকে আছে কি না, তা জানতে চলছে উদ্ধারকাজ।