চন্দননগর: ভেঙে পড়ল চন্দননগর কোর্টের (Chandannagar Court) বারান্দার ছাদের একাংশ। বড় দুর্ঘটনার (Accident) হাত থেকে রক্ষা পেল আদালতে আসা লোকজন। দ্রুত সংস্কারের দাবি আইনজীবীদের। ঘড়িতে তখন সকাল দশটা। কোর্টের কাজকর্ম শুরু হয়নি। লোকজন আসতে শুরু করেছে সবে। আইনজীবীরাও এসেছেন কয়েকজন।হঠাৎই চন্দননগর কোর্টের পূর্ব দিকের বারান্দার ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। কোর্টে সে সময় উপস্থিত যারা ছিলেন তাদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।ইটের টুকরো ছিটকে একজনের গায়ে লাগে। পরে ওই জায়গা দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।


চন্দননগর কোর্টের সিভিল বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক অশোক দে বলেন, 'খুব খারাপ অবস্থায় আছে কোর্ট বিল্ডিং। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে। আজ বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি আমরা।এর আগেও এমন হয়েছে।নতুন বিল্ডিং তৈরির জন্য টাকা এসে ফিরে গেছে। আপাতত কোর্টের এই অংশ বন্ধ রাখা হোক।' চন্দননগর স্ট্যান্ড রানী ঘাটের পশ্চিম দিকে ফরাসী যুগের এই বিল্ডিংয়ে চলে চন্দননগর কোর্ট। সিভিল বারের সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'প্রায় দেড়শো বছরের পুরোনো বিল্ডিং। আমি যখন আসছি তখনই দেখলাম ভেঙে পড়ল। ভাগ্য ভালো কোর্ট চলাকালীন এই ঘটনা ঘটেনি। আমরা এর আগে লিখিত ভাবে জেলা জজকে এবং হাইকোর্টের জোনাল জজকে জানিয়েছিলাম কোর্ট বিল্ডিং এর অবস্থা।আমরা চাই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যারা তারা আসুন । পূর্ত দপ্তররে জেলা ইঞ্জিনিয়াররা আসুক এসে দেখে যাক। ঘটনা সত্যি কিনা সেটা দেখুন আমরা চাই।এর আগে যে ভাবে সংস্কার হয়েছে, তাতে ছাদের উপর ভার বেশি হয়ে গিয়েছে। পিলারে ফাটল ধরেছে।ঢালাই ছাদের তলার অংশ ভেঙে পড়ছে। হয় এই বিল্ডিং পুরোপুরি সংস্কার করা হোক, না হলে বিপদজ্জনক ঘোষণা করে, নতুন বিল্ডিং তৈরি করে, কোর্ট চলুক। এই বিল্ডিং আইনজীবী মুহুরি বিচার প্রার্থীদের কাছে বিপদজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোনও সময় মাথায় ছাদ ভেঙে পড়তে পারে।'


আরও পড়ুন, ৫ বছর পরে অবশেষে টেট উত্তীর্ণদের নম্বর প্রকাশ পর্ষদের


প্রসঙ্গত, কলকাতা-সহ একাধিক পুরোনো শহরে অনেক বাড়িকেই ঘোষণা বিপদজ্জনক বলে ঘোষণা করেছে ইতিমধ্যেই পুরসভা। একুশসালে কলকাতায় একটি বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটে। বড়বাজারের পোস্তায় সেবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। মূলত, ভেঙে পড়তে শুরু করেছিল পাঁচতলা বাড়ির বিভিন্ন অংশ। রাতভর বৃষ্টির জেরে সকাল হতেই ভেঙে পড়ে ফের বাড়ির একাংশ। কলকাতায় ফের বিপজ্জনক বাড়িতে ফিরে আসে বিপদ। এবার বড়বাজারের পোস্তায়। ১৩৮ নম্বর কটন স্ট্রিটের পাঁচতলা বাড়িতে পুরসভার তরফে আগেই ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছি বিপজ্জনক নোটিস।  বাড়ির বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়তে শুরু করে। ওই বাড়িতে ঝুঁকি নিয়ে এরপরেও রাত কাটায় কয়েকটি পরিবার।  ফের ভেঙে পড়ে বাড়িটির একাংশ। এরপরই পুলিশ বিপজ্জনক ওই বাড়ি থেকে আবাসিকদের বের করে দেয়।