সোমনাথ মিত্র, হুগলি: হুগলিতে বজ্রাঘাতে মৃত্যু তিন জনের, আহত হয়েছেন দু'জন।‌ মৃতদের মধ্যে দুজনই তারকেশ্বরের। মৃত ব্যক্তিরা হলেন তারকেশ্বর ভঞ্জিপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সনৎ দাস(৪০) ও বালিগড়ি ১ পঞ্চায়েতের সুরজিৎ চৌধুরী(২৯)। দাদপুরে বজ্রাঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।


হুগলিতে বজ্রাঘাতে মৃত্যু: কবে আসবে বর্ষা? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা। এরই মধ্যে বজ্রাঘাতে মৃত্যুর খবর। একই জেলায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২ জন। এদিন বিকেলে কালো মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। তারপরেই শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টির সঙ্গে ঘনঘন পড়তে থাকে বাজ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সেই সময় মাঠে ছিলেন  তারকেশ্বর বালিগড়ি -১ গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ চৌধুরী। বজ্রপাতের সময় মাঠে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান সুরজিৎ চৌধুরী। তাঁকে মাঠ থেকে তুলে তারকেশ্বর গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। অপরদিকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়েছিলেন ভঞ্জিপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সনৎ দাস। তাঁকেও অচৈতন্য অবস্থায় মাঠ থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দাদাপুরের আলিপুরে মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় চন্দ্রনাথ মালিকের(৬০)। অন্যদিকে বজ্রপাতের সময় স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল তারকেশ্বর মির্জাপুরের এক ছাত্র। সেই সময় বজ্রঘাতে আহত ওই ছাত্র। তাকে প্রথমে ভর্তি করা হয় তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে স্থানান্তর করা হয় আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। রেখা কর্মকার নামে এক মহিলা জখম হন বজ্রঘাতে। তিনি তারকেশ্বর গ্রামীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


রবিবারের আগে, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা আসছে না। জানাল আবহাওয়া দফতর। বাংলায় প্রবেশ করলেও উত্তরবঙ্গেই থমকে আছে বর্ষা। আপাতত তার অবস্থান মালদার ওপরে। রবি থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্য়ে সক্রিয় হতে পারে মৌসুমী বায়ু। তার আগে, চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া বাঁকুড়া বীরভূম ঝাড়গ্রাম পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে রবিবার পর্যন্ত। বাকি জেলাতেও গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া থাকবে। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি কমবে না। কলকাতায় স্বাভাবিকের তুলনায় চার-পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা। আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৪ ডিগ্রি বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। অন্য়দিকে, উত্তরবঙ্গে আজও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির কিছু অংশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে হবে। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় ভারি বৃষ্টির সতর্কতা। হালকা মাঝারি বৃষ্টি হবে মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। শনিবারও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে। 


আরও পড়ুন: Food Tips: পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?