সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, এবিপি আনন্দ, হুগলি: দলেরই উপপ্রধান তাঁকে পঞ্চায়েতে ঢুকতে দিচ্ছেন না। এমনই অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত (Panchayat) প্রধান। একই অভিযোগে সরব হয়েছেন বিরোধী সদস্যরাও। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার পাল্টা দাবি, প্রধানের সঙ্গে বিজেপির (BJP) যোগ আছে।
আকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেত্রী ও প্রধান কেকা গায়েন বলেন, "উনি আমাকে পঞ্চায়েতে ঢুকতে দিচ্ছেন না গত ৮-৯ মাস ধরে। উনি বলতে চাইছেন আমি যেখানে বলব সেখানে আমাকে সই করতে হবে। আমাকে পঞ্চায়েত থেকে হাত ধরে টেনে বের করে দিচ্ছে।" অভিযোগকারিণী কোনও বিরোধী দলের নেত্রী নন।
খোদ তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান। আর তাঁরই বিস্ফোরক অভিযোগ, পঞ্চায়েতে ঢুকতে দিচ্ছেন না দলেরই উপপ্রধান। তৃণমূলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। দু-একদিন নয়। অভিযোগ, দলের উপপ্রধানের দাপটে গত ৯ মাস, হুগলির পোলবার আকনা পঞ্চায়েতে যেতে পারছেন না তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। একই অবস্থা বিরোধী সদস্যদেরও।
আরও পড়ুন, লাদাখের পর এবার অরুণাচল, নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ফের চিনা সক্রিয়তা
গত পঞ্চায়েত ভোটে ১৭ আসন বিশিষ্ট আকনা পঞ্চায়েতের ১০টি আসনে জিতে বোর্ড গড়ে তৃণমূল। ৭টি আসন পায় বিজেপি।
তৃণমূলের কেকা গায়েন প্রধান ও নির্মলেন্দু ঘোষ উপপ্রধান নির্বাচিত হন। অভিযোগ, গত বিধানসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকে তৃণমূলের উপপ্রধান ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেন। বিজেপি নেত্রী ও সদস্য রাধা রায় বলেন, উপপ্রধান ছাড়া আমরা কেউ ঢুকতে পারি না। চুলের মুঠি ধরে আমাদের বের করে দেয়।তৃণমূল সদস্যরাও ঢুকতে পারে না। অপমান করে। উনি পঞ্চায়েতে ঢুকলে কাউকে ঢুকতে দেয় না
সম্প্রতি, প্রধান ও বিরোধী সদস্যরা পঞ্চায়েতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যদিও, যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে, নিজের দলেরই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে বিজেপি-ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের উপপ্রধান। আকনা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও উপপ্রধান নির্মলেন্দু ঘোষ বলেন, "বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে কাজ করেন। দলীয় প্রধান হয়ে বিজেপির হয়ে কাজ করার জন্য জনরোষে পড়েছেন।"
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক দিলীপ যাদব বলেন, "দল ও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে। তাদের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" দলেরই উপপ্রধানের বিরুদ্ধে বিডিও, পুলিশের পাশাপাশি জেলা নেতৃত্বের কাছে নালিশ জানিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতেরও।