সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, পোলবা (হুগলি): কম্বল জড়ানো মৃতদেহ (Dead body)   উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে পোলবার (Polba)  জারুরা দিল্লি রোডের পাশে। শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা জঙ্গলের মধ্যে কম্বল জড়ানো মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে পোলবা থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে আসে পোলবা থানার পুলিশ (Police)। মৃতদেহ দিয়ে পচন ধরেছে ও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দেহ শনাক্ত করতে অসুবিধায় পড়েছে পুলিশ।


স্থানীয়দের অনুমান খুন, করে ওই এলাকায় ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে ।  যেহেতু পচন ধরেছে সেজন্য স্বাভাবিকভাবেই এখনও পর্যন্ত মৃতর নাম বা পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ মৃতদেহটির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অনন্ত দুদিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হচ্ছে। কীভাবে মৃত্যু ময়না তদন্তের পরেই তা জানা যাবে।


 উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে গাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল ঘরছাড়া যুগলের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন দু’জনে।ন’মাস পর সেই গ্রামেই উদ্ধার করা হয় যুগলের ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের বংশীধরপুর গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বুধবার সকালে গ্রামের বড়খাল এলাকায় একটি নিম গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেহ দুটি দেখতে পান তাঁরা। মৃতদেহ উদ্ধার ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা হলেন এই গ্রামেরই বাসিন্দা ধীরেন ডাঙ্গুয়া ও অঞ্জলি সিংহ।ধীরেন ও অঞ্জলি দু’জনেই বিবাহিত। অঞ্জলির সংসারে রয়েছে স্বামী এবং তিন ছেলে-মেয়ে।ধীরেনেরও স্ত্রী ও তিন সন্তান আছে।গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, মৃতদের মধ্যে বিবাহ-বহিভূর্ত সম্পর্ক ছিল।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সেই কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন যুগল।তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।