সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৌশিক গাঁতাইত : হুগলির (Hooghly) শ্রীরামপুর (Srirampur) ওয়ালশ হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগিণীর মৃত্যুর অভিযোগ। যার জেরে তাণ্ডব চলল হাসপাতালে। উঠল চিকিৎসক নিগ্রহের অভিযোগ। অন্যদিকে, চিকিৎসার গাফিলতিতে আসানসোল জেলা হাসপাতালেও শিশুমৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় মৃতের পরিজনরা।
রোগী মৃত্যুর জের। দুই জেলার দুই সরকারি হাসপাতালে আছড়ে পড়ল আক্রোশ। দেদার ভাঙচুর চলল। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলল অশান্তি। চিকিৎসক নিগ্রহের অভিযোগ পর্যন্ত উঠল।
শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভাঙচুর-
রোগীমৃত্যু ঘিরে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভাঙচুর চলে। রবিবার সকালে পেটে তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে শ্রীরামপুরের ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি হন রিষড়ার লীলা পাসোয়ান। তাঁর পরিবারেরর দাবি, চিকিৎসা শুরু করতে দেরি করায় হাসপাতালেই এমার্জেন্সিতেই মারা যান ওই মহিলা। এরপরই এমার্জেন্সিতে ধুন্ধুমার বাধান মৃতার পরিজনরা।
আরও পড়ুন ; চিকিৎসায় গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ, ভাঙচুর নার্সিংহোমে
যদিও গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিকিৎসক। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতার কয়েকজন আত্মীয়কে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়।
এদিকে শিশুমৃত্যুর জেরে আসানসোলে হাসপাতালেও ধুন্ধুমার বাধে। রবিবার সকালে ২ বছরের শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তেতে ওঠে আসানসোল জেলা হাসপাতাল। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে এমার্জেন্সিতে ভাঙচুর চালায় মৃত শিশুর পরিজনরা। আসানসোল জেলা হাসপাতালের নার্স ইনচার্জ বলেন, এখানে ভাঙচুর করেছে। এমার্জেন্সি তছনছ করে দিয়েছে। এবার কী করে আমরা অন্য রোগীদের দেখব।
খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। মৃত শিশুর পরিজনদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশ অফিসাররা। তবে ঘটনার জেরে অন্য রোগী ও তাঁদের পরিজনরা আতঙ্কে। আসানসোল জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার শঙ্করী মাজি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক ভাঙচুরের ঘটনা। ৩ জনের বিশিষ্ট চিকিৎসককে নিয়ে তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। এর জন্য ভাঙচুর ঠিক নয়, পরিষেবা দিয়েছি।