সৌরভ বন্দ্য়োপাধ্যায়, শ্রীরামপুর: পুজোর পরেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ধাপে ধাপে বাড়ছে। সে কারণেই পৌরসভা ও গ্রাম এলাকায় বেশ কয়েক কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। শ্রীরামপুর পৌরসভার ৭টি ওয়ার্ডকে কনটেনমেন্ট জনে চিহ্নিত করা হয়েছে। আজকে সকালে দেখা গেল পৌর প্রশাসক নিজেই বেরিয়ে পড়েছেন করোনা সচেতনতা করতে। কনটেনমেন্ট জোন এলাকা আছে যেখানে, সেখানে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। কনটেনমেন্ট জোন এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও অফিস চত্বরে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। মাইকে করে জনতার প্রচার চালানো হচ্ছে। মাক্স দেওয়া হচ্ছে। এলাকার মানুষকে কনটেনমেন্ট জোন হলে কী কী করা দরকার সেটাও বোঝানো হচ্ছে। যেসব বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রয়েছেন, তাঁদের দরকারি সমস্ত দ্রব্য পৌরসভার তরফ থেকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, করোনা সংক্রমণ ক্রমেই বেড়ে চলায় কড়া পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। আজ থেকে তিনদিন বন্ধ রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার এলাকার বাজার, দোকান। শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বেচাকেনায় ছাড় পাওয়া যাচ্ছে।
সকাল থেকেই বন্ধ রাজপুর, গড়িয়া, বালিয়া-সহ একাধিক বাজার। চলছে বাজার এলাকা স্যানিটাইজ করার কাজ। এছাড়া সকলকে সতর্ক করা হয়। মাস্ক পরতে বলা হয়। মাস্ক তুলে দেওয়া হয় পথচারীদের হাতে। সবে যখন একটু আশার আলো দেখা গেছিল, তখনই ফের করোনার রক্তচক্ষু! উৎসবের মরসুমের পরই রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে, সংক্রমণ শৃঙ্খল ভাঙতে ফের বাজার-হাটে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। মাইকে পুলিশের সচেতনতা প্রচার। কারও মুখে মাস্ক না দেখলেই, সতর্ক করা হচ্ছে। হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই জেলাতেই হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার, রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকায়, আগামী তিনদিন, অর্থাৎ বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার সমস্ত বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালেই, নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া, বালিয়া সহ বিভিন্ন বাজারে টহল দেয় পুলিশ।
অন্যদিকে, সোনারপুর পুর এলাকায় ১৯টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বুধবার সকালে, সেই সব এলাকায় বোর্ড লাগানো হয়। এলাকাবাসীকে সচেতন করেন পুলিশকর্মীরা। করোনা বিধি মানতে, হুগলির ব্যান্ডেলের চকবাজার এলাকাতেও সতর্কতামূলক প্রচার চালায় পুলিশ। চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মাইকে প্রচার করেন চুঁচুড়া পুরসভার কর্মীরা।