মোহন দাস, খানাকুল : লাগাতার বৃষ্টিতে চোখ রাঙাচ্ছে রূপনারায়ণ। দেড় মাস আগে ভেঙে যাওয়া বাঁধ উপচে ফের জল ঢুকছে খানাকুলে। আতঙ্কে খানাকুলের কয়েকটি গ্রাম।
মাত্র দেড় মাস আগে বানভাসি হয়েছিল খানাকুল। রূপনারায়ণের বাঁধ ভেঙে ছিল একাধিক জায়গায়। বহু মানুষকে ঘর ছাড়তে হয়েছিল। আবার গৃহবন্দী হয়েও থাকতে হয়েছিল অনেককে । সেই স্মৃতি এখনও চোখের সামনে টাটকা। তার মাঝে আবারও নতুন করে বানভাসি হওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত খানাকুলের ধান্যঘোড়ি, ঘড়াদহ, কাকনান, বন্দর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ।
কয়েক দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছে রূপনারায়ণ। তার উপর বাঁকুড়ার জল শিলাবতী ও দ্বারকেশ্বর হয়ে মিশছে এই রূপনারায়ণে। ফলে, দেড় মাস আগে ভেঙে যাওয়া বাঁধ দিয়ে জল ঢুকছে হু হু করে। ভাঙা অংশে বস্তা দিয়ে বাঁধ মেরামতির কাজও শুরু করেছিল প্রশাসন। কিন্তু, সেই বাঁধের উপর দিয়েই উপচে জল ঢুকছে গ্রামে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, জলের চাপ বাড়লেই আবার এই বাঁধ ভেঙে যেতে পারে যে কোনও সময় ।
অন্যদিকে বন্যা পরিস্থিতির জন্য গত দেড় মাস আগে ঘর ছাড়তে হয়েছিল। আবার নদীতে জল বাড়ায় আগে থেকেই ঘর ছাড়ছে খানাকুলের মানুষ। খানাকুলের ধান্যঘোড়ি এলাকায় ভাঙা বাঁধ উপচে জল ঢুকছে হু হু করে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই ফের দুর্গতদের আগাম উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। নদী বাঁধের ধারে বসবাসকারী পঞ্চাশ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গত দেড় মাস আগেই ঘর ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেকে। আবার ঘর ছাড়ার পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ওই সমস্ত মানুষ।
গত অগাস্ট মাসেই খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে যায়। বহু মানুষ ছাদে আশ্রয় নেন। অনেকে আশ্রয় নেন ত্রাণ শিবিরে। কুশালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ত্রাণ শিবিরে গবাদি পশু ও মানুষকে পাশাপাশি দেখা গিয়েছিল। এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে পানীয় জল ও খাবারের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ তোলেন স্থানীয়রা।