সোমনাথ মিত্র, সিঙ্গুর (হুগলি) : করোনা অতিমারির চোখ রাঙানিকে দূরে সরিয়ে সরকারি নির্দেশে আজ থেকে স্কুলমুখী (School Reopen) হয়েছে পড়ুয়ারা। আর একদিন বাদেই সরস্বতী পুজো (Sarswati Pujo)। তার আগে  স্কুলের দেওয়ালে দেওয়ালে  তুলির টানে ভরে উঠছে পড়ুয়াদের দীর্ঘ দিনের জমে থাকা কল্পনা। রঙের ছটায় তা  হয়ে উঠছে আরও প্রানবন্ত। লাল,নীল, হলদে, সবুজ, আরও নানান  রঙের মিশ্রনে স্কুল প্রাঙ্গন জুড়ে তৈরী হচ্ছে আলপনা। সরস্বতী পুজোর প্রাক্কালে স্কুল খোলার মুহুর্তে এভাবেই সেজে উঠছে  সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ‍্যালয় (Singur Mahamaya High School)।


দীর্ঘদিন পরে আজ থেকে আবারও শুরু হল স্কুলের পঠন পাঠন। আর একদিন বাদেই বিদ‍্যার দেবীর আরাধনায় মাতবে রাজ‍্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি । বিদ‍্যা দেবীর আরাধনা মাতোহারা হবে পড়ুয়ারাও । স্কুল , কলেজে শুরু হয়েছে তারই প্রস্তুতি। অন‍্যান‍্য বছরের মতো এ বছরও বিদ‍্যা দেবীর আরাধনা মেতে উঠছে সিঙ্গুর মহামায় উচ্চ বিদ‍্যালয়। তারই প্রস্তুতি জোর কদমে চলছে স্কুলে। দেবীর আরাধনায় রঙ, তুলি হাতে স্কুল চত্বর  রঙিন করে তুলছে পড়ুয়ারা।  দেওয়ালে দেওয়ালে ফুটে উঠছে পড়ুয়াদের মনে জমে থাকা শিল্পী সত্ত্বা।  এতদিন যেন তা দমবদ্ধ হয়ে জমে ছিল পাথরের কোন স্তুপে। স্কুল খুলতে তা যেন বেরিয়ে পড়ল মনের আনন্দে। আর তারই রূপ ফুটে উঠছে স্কুলে দেওয়ালে দেওয়ালে। পড়ুয়াদের  সাথে তাল মিলিয়ে  ক্রমাগত উৎসাহ দিচ্ছেন শিক্ষক শিক্ষিকারও।


সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ‍্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা মল্লিকা চট্টোপাধ‍্যায়  বলেন,সরস্বতীর পুজোর প্রাক্কালে যেভাবে রঙের মাধ‍্যমে, তুলির মাধ‍্যমে স্কুল চত্বরে ছেলে-মেয়েরা  শিল্পী স্বত্বা ফুটিয়ে তুলছে তা সতিই তুলনাহীন।‌ এই কাজে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা, পুরানো ছাত্ররা ও শিক্ষক শিক্ষিকার  একসঙ্গে মিশে একাত্ব হয়ে উঠেছে, তা খুবই আনন্দ দায়ক।


একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী উপসনা নন্দী বলেছে, করোনার জন‍্য চার দেওয়ালে এত দিন আমাদের প্রতিভা আটকে ছিল। বাইরে প্রকাশ পায়নি কিছু ই। স্কুল খোলাতেই এই প্রতিভা আমরা প্রকাশ করতে পেরে আমরা খুব আনন্দিত।। স্কুল চত্বর রঙিন হয়ে উঠছে। তাছাড়া অনেক দিন পর বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবার পর আনন্দ পাচ্ছি আমরা সবাই।