সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমনাথ মিত্র : একাধিক পদক্ষেপেও কাজ হয়নি। তাই এবার অভিযানে নামল পুলিশ। ওভারলোডেড ট্রাক ধরতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালাল হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ। সিঙ্গুর ও চণ্ডীতলা থেকে ৩৫টি ওভারলোডেড ট্রাক আটক করা হয়েছে। পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনার জন্য ওভারলোডেড ট্রাকের যাতায়াতের জেরে রাস্তা খারাপ হওয়াকে কাঠগড়ায় তুলেছে এলাকাবাসী। এরকম দৃষ্টান্ত একাধিকবার দেখা গেছে। ট্রাকের ওভারলোডিং রুখতে বিভিন্ন সময় কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমস্যা মেটাতে ইতিমধ্যেই জরিমানার অঙ্ক বাড়িয়েছে পরিবহণ দফতর। চলছে ধরপাকড়ও। কিন্তু তার পরেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। চলছে ওভারলোডিং। এই অবস্থায় ওভারলোডেড ট্রাক ধরতে অভিযান চালাল হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ।
পুলিশের দুটি দলের একটি হানা দেয় সিঙ্গুরের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। অপর দলটি যায় চণ্ডীতলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, সিঙ্গুরের রতনপুর থেকে ১৬টি এবং চণ্ডীতলার কলাছড়া থেকে ১৯টি ওভারলোডেড ট্রাক আটক করা হয়। যার মধ্যে বেশির ভাগ ট্রাক বহন ক্ষমতার থেকে বেশি পরিমাণ বালি নিয়ে যাচ্ছিল।
জেলা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৬ চাকার ট্রাকে সর্বাধিক ১৮ টন, ১০ চাকার ট্রাকে সর্বাধিক ২৮ টন পণ্য বহন করা যেতে পারে। সর্বাধিক ৩৫ টন পণ্য বহন করতে পারবে ১২ চাকার ট্রাক। আর ১৬ চাকার ট্রাকে পণ্য বহন করা যেতে পারে ৪২ টন পর্যন্ত। এর বেশি পণ্য নিলে, প্রথম অতিরিক্ত ১ টনের জন্য ২০ হাজার টাকা জরিমানা হয়। পরবর্তী অতিরিক্ত প্রত্যেক টনের জন্য জরিমানা করা হয় ৫ হাজার টাকা করে।
এদিকে ওভারলোডেড ট্রাক ধরতে পুলিশের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য প্রবীর চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমরা এর জন্য সিঙ্গুর সহ অনেক জায়গায় ধর্না দিয়েছি। আগামী দিনে নিয়মিতভাবে যদি এই ধরপাড়ক বেশি হয় তাহলে খুব ভাল হবে।
হুগলি গ্ৰামীণ পুলিশ সুপার অমন দীপ জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে আগামীদিনেও চলবে। ওভারলোডিং গাড়ি শুধুমাত্র যে RTO-র নিয়মভঙ্গ করে তাই নয়, রাস্তার স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক।