সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চুঁচুড়া : চুঁচুড়ায় বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ধর্নায় বসলেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। KMDA, PWD- আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে কাজ না করার অভিযোগ করেন তিনি। বিধায়ক ধর্নায় বসার পরেই রাস্তার কাজ শুরু হয়। কাজ কিছুটা এগিয়েছে দেখে ধর্না তুলে নেন বিধায়ক।
তৃণমূল সরকারের KMDA, PWD বিভাগের বিরুদ্ধে কাজ না করার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসলেন তৃণমূলেরই বিধায়ক। জিটি রোড বা চুঁচুড়া স্টেশন থেকে শহরের দিকে যেতে গেলে এটাই মূল রাস্তা। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সব জায়গায় যেতেই এই রাস্তার ওপর নির্ভর করতে হয় বহু মানুষকে। চুঁচুড়ার তোলাফটক থেকে সাঁকোমোড় পর্যন্ত আধ কিলোমিটার বেহাল রাস্তার হাল ফেরাতে বেশ কিছুদিন ধরে সচেষ্ট স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। সোমবার রাখির দিন রাস্তা সারাইয়ের দাবি ধর্নায় বসেই পড়ছিলেন বিধায়ক। জেলাশাসক, মহকুমা শাসক ও পিডব্লুডির আধিকারিকরা কোনও রকমে বুঝিয়ে সুঝিয়ে নিরস্ত করেন।
সেদিন তৃণমূল বিধায়ক বলেছিলেন, 'এ সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। সরকারের এই দুটো বিভাগ..KMDA ও PWD। এরা কোনো কথা শোনে না। এরা নিজেদের মর্জিমাফিক চলে। এরা যদি নিজেদের মর্জিমাফিক চলে, আমিও মানুষের মর্জিমাফিক চলব। কারণ, মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। ওদের দয়ায় আমি জিতিনি। '
মঙ্গলবার থেকে রাস্তার কাজ শুরু কথা ছিল। কাজের হাল খতিয়ে দেখতে সকাল ৯টাতেই পৌঁছে যান বিধায়ক। কাজ শুরু হয়নি দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অসিত মজুমদার। সটান চেয়ার নিয়ে বসে পড়েন রাস্তার ধারে। বিধায়ক বলেন, 'এখানে মেয়েদের স্কুল আছে, বাচ্চাদের স্কুল আছে, শ্মশান ঘাট আছে, সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমরা বসে আছি রাস্তায়, দেখি কী হয়। আমি চাই, রাস্তার কাজ হবে। সরকার টাকা দিয়েছে, রাস্তার কাজ হবে।'
এ প্রসঙ্গে KMDA-র ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের প্রাইমারি কাজের আমরা টাইম টু টাইম পারমিশন পাইনি। বিধায়ক যা অভিযোগ করেছেন তার ভিত্তিতে আগামী ৩ দিনের মধ্যে আমরা অস্থায়ীভাবে যেটুকু উপযুক্ত করার করে দেব।'
এনিয়ে বিজেপির হুগলি সংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, 'বিধায়কের কথা PWD শুনবে না, KMDA শুনবে না, এতো চিৎকার করে বলার কিছু নেই। এটাই স্বাভাবিক। চুচুড়ার বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ব্ল্যাক লিস্টেড, সেটা KMDA-ও জানে, PWD-ও জানে যে কারণে বিধায়কের এই অবস্থা হয়েছে।'
বিধায়ক ধর্নায় বসার পরে রাস্তার কাজ শুরু হয়। কিছুটা কাজ হওয়ার পরে বিকেল ৫টা নাগাদ ধর্না তুলে নেন বিধায়ক অসিত মজুমদার।