সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চুঁচুড়া : চুঁচুড়ার (Chunchura) খাদিনামোড়ে বিজেপির মিছিলে (BJP Rally) হামলা তৃণমূলের। লাঠি হাতে বিজেপি কর্মীদের পেটাতে দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারকে। তার সঙ্গে চলে চড়, ঘুষি। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল বিধায়ককে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে চুঁচুড়া থানার পুলিশ। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিজেপির দাবি, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালানো হয়েছে।
কী বললেন বিধায়ক ?
এপ্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "আমি কলকাতা থেকে ফিরছিলাম। ব্যাপক জ্যাম। ২৫-৩০টা লোক। বলছে, তৃণমূলের সব চোর চোর। আমি মিছিলটা ক্রস করে এগিয়ে এসেছি, তখনই বলে ওঠে, গাড়ি কেন এগোল ? তারপরই আমার উপর হামলা। পার্টি অফিসে আমাদের মেয়েদের মিটিং চলছিল। মেয়েরা বেরিয়ে আসে। পাল্টা মার দিতেই ওরা পালায়। ধাক্কাধাক্কি তো করেছে।"
যদিও অভিযোগ উড়িয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "গত ১০ বছরে কোনও তৃণমূল বিধায়ক বিজেপি কর্মীর দ্বারা হেনস্থা হয়েছে বললে অফিসের চেয়ার-টেবিলগুলো পর্যন্ত হেসে উঠবে। তৃণমূল কংগ্রেস একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছে পশ্চিমবঙ্গে। এখানে গণতন্ত্র কার্যত বিলুপ্ত। পুলিশ এবং তৃণমূল কংগ্রেস যৌথভাবে বিরোধীদের আক্রমণ করেছে, রক্তাক্ত করেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শুরু করে এপর্যন্ত আমাদের ২০০ কর্মী শহিদ হয়েছেন। চুঁচুড়ার খাদিনামোড়ের মতো একটি বহু ঐতিহ্যপূর্ণ জায়গায় , যেখানকার সংস্কৃতি নিয়ে বাংলা এবং বাঙালি গর্ববোধ করেন, সেখানে বিজেপির একটি শান্তিপূর্ণ মিছিলে যদি বিধায়ক লাঠি নিয়ে নেমে এসে মারামারি করেন, তাহলে বোঝা যাচ্ছে পরিস্থিতি কী। আসলে তৃণমূলের বিনাশকাল এসে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে এই আচরণ করছেন, আতঙ্ক এবং হাতাশা থেকে । অসিত মজুমদার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মী। তিনি নিজেকে হারিয়ে ফেলে এই আচরণ করছেন, তার কারণ কী ? কারণ, তিনিও বুঝতে পারছেন সেদিনের আর বেশি দেরি নেই। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। মানুষ খেপে উঠেছেন। মন্ত্রীর ওপর একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত গৃহবধূ জুতো ছুড়ছেন। যদিও সেটা সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু, জনরোষ এবং ক্ষোভ কোথায় গিয়ে পৌঁছেছেন।"