সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: ফের আত্মঘাতী দম্পতি। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) বাঁশবেড়িয়ার (Banshberia) মহাকালীতলা এলাকায়। অনুমান করা হচ্ছে যে স্বামীর আত্মঘাতী হওয়ার পর স্ত্রীও আত্মঘাতী হন। কেন হঠাৎ এই ঘটনা ঘটল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


দাম্পত্য কলহ থেকেই আত্মহত্যা?


জানা গিয়েছে যে, মৃত ব্যক্তি অর্ক ভট্টাচার্য (৩১) ও তাঁর স্ত্রী ঋতুপর্ণা (২৬)। ২০১৯ সালে বিয়ে হয়েছিল এই দম্পতির। জানা গিয়েছে যে, অর্ক নিজে হাওড়া বাস ডিপোতে পরিবহন দফতরে চাকরি করতেন। স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে যে, চাকরি পাওয়ার পর অর্ক ঋতুপর্ণাকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর মা মারা যান অর্কর। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা আর তারা দুই জন। অর্কর জ্যাঠতুতো দিদি পিঙ্কি ভট্টাচার্য বলেন, ''গতকাল রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। কেউ খাওয়া দাওয়া করেনি। ঠিক কী নিয়ে অশান্তি সেটা জানি না তবে ঋতুপর্ণা একটু রুগ্ন ছিল তাই সে কনসিভ করতে পারছিল না।''


কখন বুঝতে পারলেন যে কিছু হয়েছে? অর্কর দিদি বলেন, ''ওরা একটু দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে। আমি জানতাম যে গতকাল ভাই এর ছুটি ছিল। সকাল সারে নটা নাগাদ ঋতুপর্ণা উঠে বাথরুমে যায়। ঘরে ফিরে দেখে অর্ক গলায় দড়ি দিয়েছে। তড়িঘড়ি তাকে নামিয়ে চুৃঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি। ভাই এর মৃত্যুর খবর আসার পর দুপুরে তাঁর স্ত্রীও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।''


অর্কর বাবা অনিল ভট্টাচার্য বলেন, ''ছেলে বৌমার মধ্যে কি কথা কাটাকাটি হয়েছে জানিনা। ছেলে সকালে গলায় দড়ি দিল। আর বৌমা দিল তারপরে। আমি পাশের ঘরে থাকি জানতে পারিনি। ঋতুপর্ণাকে দেখতে না পেয়ে ডাকি। বন্ধ দরজা লাথি মেরে ভেঙে দেখি ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়েছে। কি যে হল বুঝতে পারছি না। বড্ড একা হয়ে গেলাম।''