সুদীপ্ত আচার্য, ভাস্কর ঘোষ ও সমীরণ পাল, বালি:  দু’দিনের বৃষ্টিতে ধস নেমেছে বালিব্রিজে। বালির বস্তা ও খুঁটি পুঁতে অস্থায়ীভাবে শুরু হয়েছে মেরামতির কাজ। তবে, ধসের প্রভাব পড়েনি যানবাহন চলাচলে।


বালি ব্রিজ। কলকাতা থেকে হাওড়া-হুগলির সংযোগকারী অন্যতম মাধ্যম। দু’দিনের প্রবল বর্ষণে সেই সেতুতেই ধস নেমেছে। পথচারীদের দাবি, গত কয়েকদিন ধরেই, ব্রিজের পাশের অংশ ধসে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার রাতে বড়সড় ধস নামে। দক্ষিণেশ্বর থেকে বালির দিকে যাওয়ার রাস্তার বাঁদিকে, প্রায় ১০০ মিটার লম্বা ও ১২ মিটার চওড়া এলাকা ধসে যায়। 


উত্তম মণ্ডল নামে এক যাত্রী জানিয়েছেন, রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। বড় বিপদ হতে পারত। মঙ্গলবার বিষয়টি নজরে আসে ডানলপ ট্রাফিক গার্ড ও পূর্ত দফতরের। বুধবার সকাল থেকেই শুরু হয় মেরামতির কাজ। 


ব্রিজের পাশেই রেললাইন। একটু বৃষ্টি হলেই, সেই জল রেললাইন উপচে কংক্রিটের রাস্তার ওপর দিয়ে স্রোতের মতো বয়ে যায়। যার জেরে সেতুর নিচের মাটি আলগা হয়ে গিয়ে এই ধস, বলে প্রাথমিক অনুমান পূর্ত দফতরের। 


পূর্ত দফতরের কর্মী পিন্টু যাদব জানিয়েছেন, বড় বিপদ হতে পারত। আপাতত শালকাঠের খুঁটি পুঁতে ও বালির বস্তা ফেরে, ধস কবলিত এলাকা মেরামতির কাজ চলছে। 


পূর্ত দফতর জানিয়েছে, আপাতত অস্থায়ীভাবে রাস্তা মেরামত করা হবে। পরবর্তীকালে, রাস্তার ধারে ড্রেন বানানো যায় কিনা, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হবে। তবে, ধসের প্রভাব যানবাহন চলাচলে সেভাবে কোনও প্রভাব পড়েনি। 


আজ থেকে হাওয়া বদল কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। আজ ও কাল কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে দুর্যোগ কাটতে না কাটতেই ফের চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ। শুক্রবার থেকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সপ্তাহান্তে ফের বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। রবি ও সোমবার উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।


দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে জারি থাকবে হলুদ সতর্কতা। বিক্ষিপ্তভাবে দু এক পশলা ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামে। মত্স্যজীবীদের জন্য জারি হয়েছে সতর্কতা। শনিবার থেকে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আগের নিম্নচাপের জেরে, জল যন্ত্রণার হাত থেকে এখনও রেহাই পায়নি কলকাতা। জল থৈ থৈ মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা। এরইমধ্যে ফের দুর্যোগের ভ্রুকুটি।


আরও পড়ুন: Hooghly: মোবাইল ফোনে আসক্তি, পান্ডুয়ায় পরিবারে বকুনি খেয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী